র‍্যাপিড পাস কীভাবে কিনবেন? মেট্রোরেলের জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইড

র‍্যাপিড পাস ক্রয়ের নিয়ম: মেট্রোরেল যাত্রায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়
Rapid

 র‍্যাপিড পাস ক্রয়ের সহজ নিয়ম: মেট্রোরেল যাত্রার সময় ও অর্থ সাশ্রয় করুন

ঢাকা মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য র‍্যাপিড পাস হলো সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী টিকিটিং সমাধান। টিকিটের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই সরাসরি ভ্রমণের সুবিধা পাওয়া যায় এই পাস ব্যবহার করে। চলুন জেনে নিই র‍্যাপিড পাস সংগ্রহের বিস্তারিত নিয়মাবলী।

র‍্যাপিড পাস কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন?

র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করতে পারবেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা, সাব-শাখা এবং ফার্স্ট ট্র্যাক বুথ থেকে। নিচে শাখাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:

উত্তরা ও মিরপুর অঞ্চল:

  1. সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উত্তরা
  2. উত্তরা শাখা, উত্তরা
  3. পল্লবী শাখা, মিরপুর
  4. মিরপুর সার্কেল-১০ শাখা
  5. শেওড়াপাড়া শাখা, মিরপুর

মতিঝিল ও গুলিস্তান অঞ্চল:

  1. কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল
  2. বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা, গুলিস্তান
  3. মতিঝিল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা

ফার্মগেট ও ধানমন্ডি অঞ্চল:

  1. ইন্দিরা রোড শাখা, ফার্মগেট
  2. ফার্মগেট উপ-শাখা
  3. সাতমসজিদ রোড শাখা, ধানমন্ডি

বাকি উল্লেখযোগ্য শাখা:

  1. খালপাড় উপ-শাখা, উত্তরা
  2. নিউ মার্কেট শাখা, নিউ মার্কেট
  3. শান্তিনগর শাখা, শান্তিনগর
  4. শ্যামলী শাখা, শ্যামলী
  5. মগবাজার শাখা, মগবাজার
  6. বসুন্ধরা শাখা, বসুন্ধরা

এছাড়াও, আগারগাঁও এবং দিয়া বাড়ি স্টেশনের ডাচ-বাংলা বুথ থেকেও র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করা যাবে।

র‍্যাপিড পাস কেনার প্রক্রিয়া

র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা বা বুথে যান।
  2. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে র‍্যাপিড পাস ফর্ম সংগ্রহ করুন।
  3. ফর্ম পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য:
    • নাম, পিতা/মাতার নাম
    • জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
    • ফোন নম্বর এবং ঠিকানা
  4. ফর্মের সাথে ৪০০ টাকাNID কপি জমা দিন।
    • ২০০ টাকা: কার্ডের জামানত (রিফান্ডযোগ্য)।
    • ২০০ টাকা: ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স।
  5. ফর্ম জমা দেওয়ার পর ২-৩ মিনিটের মধ্যে কার্ড প্রদান করা হবে
  6. কার্ডটি সাথে সাথেই ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে।

অনলাইনে র‍্যাপিড পাস সংগ্রহের সুবিধা

র‍্যাপিড পাস এখন অনলাইনে অর্ডার করা যায়।

  • র‍্যাপিড পাস অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করুন।
  • অনলাইনে অর্ডার করলে সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।

র‍্যাপিড পাস নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা

আপনার কার্ডটি অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

  • রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে https://rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।
  • নিবন্ধনের সুবিধা:
    • কার্ড হারিয়ে গেলে পূর্ববর্তী ব্যালেন্স নতুন কার্ডে যোগ করা যাবে।
    • ড্যামেজড বা হারানো কার্ড পুনরুদ্ধারে সমস্যা হবে না।

র‍্যাপিড পাস ব্যবহারের সুবিধা

১. ভাড়ায় ১০% ডিসকাউন্ট:

প্রত্যেক ভ্রমণে ১০% ছাড় পাবেন।

  • উদাহরণ: ভাড়া যদি হয় ৫০ টাকা, তবে কার্ড থেকে কর্তন হবে ৪৫ টাকা
  • নিয়মিত ব্যবহার করলে কার্ডের জন্য রাখা ২০০ টাকা চার্জ সহজেই পুষিয়ে যাবে।

২. দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা এড়ান:

টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। সরাসরি এন্ট্রি গেটে পাঞ্চ করে ভ্রমণ করুন।

৩. সহজ রিচার্জ ব্যবস্থা:

  • কার্ডে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স রাখা যায়।
  • ভবিষ্যতে অনলাইন রিচার্জ ব্যবস্থাও চালু হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ র‍্যাপিড পাস চার্জ: মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশিকা

বিশেষ সতর্কতা

  • র‍্যাপিড পাস কার্ডে স্টিকার বা ডিজাইন এড়ানো উচিত। এতে কার্ড নষ্ট হলে তা ফেরতযোগ্য হবে না।
  • ফ্রেশ এবং পরিচ্ছন্ন কার্ড ব্যবহার করুন।

উপসংহার

র‍্যাপিড পাস মেট্রোরেলে ভ্রমণের সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটি ব্যবহার করলে দীর্ঘ লাইনের ঝামেলা এড়িয়ে সরাসরি ভ্রমণ করা যায়। ডিসকাউন্ট সুবিধা ও সহজ রিচার্জ ব্যবস্থার জন্য এটি প্রতিদিনের যাত্রীদের জন্য আদর্শ সমাধান। আজই র‍্যাপিড পাস সংগ্রহ করুন এবং আপনার যাত্রা সহজ করুন।

About the author

Daud
Hey! I'm Daud, Currently Working in IT Company BD. I always like to learn something new and teach others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.