প্যানিক অ্যাটাক হলে কী করবেন? সহজ ও কার্যকর সমাধান

প্যানিক অ্যাটাক হলে করণীয় ও সহজ উপায়ে কীভাবে এটি কমানো যায়, তা জানুন।

প্যানিক অ্যাটাক, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, আত্মনিয়ন্ত্রণ

প্যানিক অ্যাটাক হলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা বা মৃত্যু-ভয় আসতে পারে। এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অতীত ট্রমার কারণে হতে পারে। তবে, নিচের ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করলে প্যানিক অ্যাটাক কমানো সম্ভব:

প্যানিক অ্যাটাক কমানোর উপায়

গভীর শ্বাস নিন

ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন, কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন, এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এটি নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করবে।

ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন বা বরফ ধরুন

ঠান্ডা পানি স্নায়ুতে তাৎক্ষণিক প্রশান্তি আনে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 what to Do During a Panic Attack

স্বস্তিদায়ক শব্দ শুনুন

প্রিয় সংগীত, প্রকৃতির শব্দ (বৃষ্টি, নদীর কলকল), বা কুরআন তেলাওয়াত শুনলে মানসিক চাপ কমতে পারে।

প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন

কাছের কাউকে ফোন করুন বা তার সঙ্গে বসে গল্প করুন। এতে আপনার মস্তিষ্ক নিরাপদ বোধ করবে।

সেলফ-টক করুন

নিজেকে বলুন, “আমি নিরাপদে আছি, এটি কেবল একটি অনুভূতি, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।”

শারীরিক নড়াচড়া করুন

হাঁটাহাঁটি করুন, হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করুন। এটি শরীর ও মনকে শান্ত করবে।

প্রগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেশন (PMR) করুন

পা থেকে মাথা পর্যন্ত ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি অংশ শিথিল করুন। এটি প্যানিক অ্যাটাক কমাতে সাহায্য করে।

ধ্যান বা নামাজ পড়ুন

কিছুক্ষণ চুপ করে বসে ধ্যান করুন বা নামাজ পড়ুন। এতে মন শান্ত হবে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়বে।

ল্যাভেন্ডার বা অন্য কোনো আরামদায়ক সুগন্ধ নিন

ল্যাভেন্ডার, গোলাপ বা লেবুর ঘ্রাণ মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকলে প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ আরও খারাপ হতে পারে, তাই প্রচুর পানি পান করুন।

ধীরে ধীরে ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টো গুনুন

এতে মনোযোগ বিভক্ত হবে এবং আতঙ্ক কমবে।

ক্যাফেইন ও এলকোহল এড়িয়ে চলুন

চা, কফি, সফট ড্রিংকস ও অ্যালকোহল উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়, তাই এগুলো কম খাওয়া ভালো।

নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করুন

ঘুমের সময় ঠিক রাখুন, ব্যায়াম করুন, এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন। এটি মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

❗ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি বারবার প্যানিক অ্যাটাক হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

✅ শেয়ার করুন, যাতে অন্যরাও উপকৃত হয়! ❤

About the author

Leo
Hey! I'm Leo. I'm always eager to learn new things and enjoy sharing my knowledge with others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.