সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড – ফিচার, চার্জ ও সুবিধা | Islamic Bank Credit Card

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন – ফিচার, চার্জ, যোগ্যতা, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড, ইসলামিক ক্রেডিট কার্ড, IBBL Credit Card, ইসলামিক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড সুবিধা, ইসলামিক ফিনান্স

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড - সম্পূর্ণ গাইড

বর্তমান যুগে আর্থিক লেনদেন যতটা সহজ হয়েছে, ততটাই জটিল হয়েছে এর নিরাপত্তা ও শরিয়াহ সম্মত দিক। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চালু করেছে একটি সম্পূর্ণ শরীয়াহভিত্তিক আধুনিক ক্রেডিট কার্ড পণ্যইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড। এই কার্ড শুধুমাত্র একটি পেমেন্ট মেথড নয়, বরং এটি একটি ইসলামিক আর্থিক সমাধান, যা "উজরাহ" ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এটি এমন একটি কার্ড যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট চার্জের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – কোনো সুদ নেই, কোনো হারাম উপাদান নেই। এখন চলুন ধাপে ধাপে এই পণ্য সম্পর্কে জানি।

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

খিদমাহ কার্ড শুধুমাত্র একটি ফিনান্স টুল নয়, বরং এটি হলো এক ধরনের ইসলামিক ফিনান্স ইনোভেশন যা গ্রাহকের দৈনন্দিন কেনাকাটা, বিল পেমেন্ট, ভ্রমণ এবং জরুরি সময়ে নগদ উত্তোলনের সুবিধা নিশ্চিত করে। নিচে এই কার্ডের উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  1. শরিয়াহভিত্তিক কার্ড: এটি “উজরাহ” মডেলে পরিচালিত হয় যেখানে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ফি আদায় করা হয়। সুদের কোনো সুযোগ নেই।
  2. বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা: VISA গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য।
  3. ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট: গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সহ যাবতীয় ইউটিলিটি বিল এই কার্ড দিয়ে সহজে পরিশোধ করা যাবে।
  4. শপিং ও ট্রাভেল ডিসকাউন্ট: ভিসা গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে এক্সক্লুসিভ অফার যেমন হোটেল বুকিং, টিকিট রিজার্ভেশন, ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
  5. নগদ উত্তোলন: ব্যাংকের নির্দিষ্ট বুথ থেকে সহজেই টাকা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে।
  6. অগ্রিম বেতন সুবিধা: জরুরি সময়ে বেতনের কিছু অংশ আগেই তুলতে পারবেন।
  7. সুপারস্টোর অফার: বিভিন্ন ব্র্যান্ডে একচেটিয়া ডিসকাউন্ট।
  8. প্রথম সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ফ্রি: পরিবার বা আত্মীয়ের জন্য একটি অতিরিক্ত কার্ড ফ্রিতে পাওয়া যাবে।

এই সুবিধাগুলোই প্রমাণ করে যে এই কার্ড শুধুমাত্র ইসলামিকভাবে হালাল নয়, বরং এটি অত্যন্ত প্র্যাকটিক্যাল এবং সময়োপযোগী।

কার্ডের ধরণ এবং টাকার লিমিট

ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী তিনটি আলাদা ধরণে কার্ড প্রদান করা হয়। প্রতিটি কার্ডের নিজস্ব সীমা বা লিমিট রয়েছে যা ব্যক্তির আয় এবং আর্থিক প্রোফাইল অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। নিচে তিনটি কার্ডের বিস্তারিত দেওয়া হলো:

কার্ডের ধরণ টাকার লিমিট
সিলভার ৳৫০,০০০/- পর্যন্ত
গোল্ড ৳১,০০,০০০/- পর্যন্ত
প্লাটিনাম ৳২,০০,০০০/- পর্যন্ত

এই তিন ধরনের কার্ড গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়। ব্যক্তিগত ব্যবহার হোক কিংবা ব্যবসায়িক, প্রতিটি স্তরের জন্য উপযুক্ত একটি কার্ড পাওয়া যায়।

Card

ক্রেডিট কার্ডের সার্ভিস এবং চার্জ

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা আছে, তেমনি নির্দিষ্ট কিছু চার্জ এবং ফি আছে যেগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি। এই চার্জগুলো কার্ডের ধরণ অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ চার্জগুলো তালিকাভুক্ত করা হলো:

  1. বার্ষিক ফি: সিলভার – ১০০০ টাকা, গোল্ড – ১৫০০ টাকা, প্লাটিনাম – ২০০০ টাকা। নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ করলে ফি মাফ।
  2. মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করলে এই ফি মওকুফ।
  3. ওভার লিমিট চার্জ: প্রতিটি কার্ডে ৫০০ টাকা করে চার্জ ধার্য হয়।
  4. পেমেন্ট বিলম্ব ফি: নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করলে ৫০০ টাকা জরিমানা প্রযোজ্য।
  5. রিপ্লেসমেন্ট ফি: হারালে বা নষ্ট হলে কার্ড পুনরায় ইস্যুর জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।
  6. নগদ উত্তোলনের ফি: প্রতিটি কার্ডের জন্য নির্ধারিত ১৫০ টাকা।
  7. ডুপ্লিকেট স্টেটমেন্ট ফি: ৬ মাসের মধ্যে ৩০০ টাকা।

উপরোক্ত চার্জের সাথে ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে। সবকিছু মিলিয়ে কার্ডটি শরিয়াহর বিধানের মধ্যে থেকে অত্যন্ত কম খরচে সুবিধা প্রদান করে।

প্রাথমিক কার্ড হোল্ডারের যা থাকতে হবে

যারা ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ কার্ড নিতে চান, তাদের জন্য কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা থাকা জরুরি। ব্যাংক এই যোগ্যতা যাচাই করেই কার্ড ইস্যু করে থাকে। নিচে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:

  1. সরকারি কর্মচারী হলে সিলভার কার্ডের জন্য মাসিক ইনকাম হতে হবে ২০,০০০ টাকা। গোল্ডের জন্য ৫০,০০০ এবং প্লাটিনামের জন্য ১,০০,০০০ টাকা।
  2. স্বনামধন্য প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেও একই রকম ইনকাম রেঞ্জ প্রযোজ্য।
  3. ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সিলভার কার্ডের জন্য ইনকাম ৫০,০০০ টাকা, গোল্ডের জন্য ১ লাখ, প্লাটিনামের জন্য ১.৫ লাখ টাকা।
  4. বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণকারী ব্যক্তিরা বা প্রেরক তারাও কার্ডের জন্য উপযুক্ত হতে পারেন।
  5. পেশাজীবী যেমন: ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষকদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়।

ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হল যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কার্ড প্রদান করা যাতে সুস্থ আর্থিক অভ্যাস বজায় থাকে।

সাপ্লিমেন্টারি কার্ড হোল্ডারের যা থাকতে হবে

যারা মূল কার্ডধারীর পরিবারের সদস্য, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্টারি কার্ড একটি সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান। নিচে এর যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো:

  1. আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  2. মূল কার্ডধারীর পরিবারের সদস্য হতে হবে (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতা)।
  3. যারা বিদেশ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন বা রেমিট্যান্স সুবিধাভোগী – তারাও যোগ্য।

এই কার্ড মূলত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপদ লেনদেনের জন্যই তৈরি। কার্ডটি স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা গেলেও এটি মূল কার্ডের অধীনে পরিচালিত হয়।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

যারা ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ কার্ড নিতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা এবং শর্ত পূরণ করতে হয়। ব্যাংক সবসময় চেষ্টা করে সঠিক এবং দায়িত্বশীল গ্রাহকদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করতে যাতে পরবর্তীতে লেনদেনজনিত কোনো সমস্যা না হয়।

  1. বয়স: প্রাথমিক কার্ডের আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং সাপ্লিমেন্টারি কার্ডের জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
  2. মাসিক আয়: সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা মাসিক আয় থাকতে হবে যেকোনো স্তরের কার্ডের জন্য।
  3. ক্রেডিট কার্ড সংখ্যা: যাদের ইতিমধ্যে অন্য ব্যাংকের ১টির বেশি ক্রেডিট কার্ড আছে, তারা এই কার্ডের জন্য যোগ্য নয়।
  4. ভ্রমণকারীরা: যারা ব্যবসা, চিকিৎসা বা পর্যটনের উদ্দেশ্যে বিদেশে যান, তাদের জন্য VISA-পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক।
  5. স্ব-কর্মসংস্থান: বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
  6. শিক্ষাগত যোগ্যতা: শেষ শিক্ষাগত সার্টিফিকেট দিতে হবে।
  7. গ্যারান্টি: ডিপি নোট, গ্যারান্টি লেটার এবং পারসোনাল গ্যারান্টর বাধ্যতামূলক।

এই যোগ্যতাগুলো পূরণ করলে আপনি সহজেই ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহভিত্তিক খিদমাহ কার্ডের একজন সম্মানিত গ্রাহক হতে পারেন।

চাকরীজিবীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যারা সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, তাদের জন্য খিদমাহ কার্ড আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র দাখিল করা আবশ্যক। এসব ডকুমেন্টস ব্যাংকের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে সহজ ও নির্ভুল করে। নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি।
  3. জন্মসনদ অথবা আইডি কার্ড – আইডি কার্ড না থাকলে কমিশনার সার্টিফিকেট।
  4. সর্বশেষ ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বা টিআইএন সার্টিফিকেট।
  5. গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  6. সর্বশেষ বেতনের সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সিল সহ।
  7. ভিজিটিং কার্ড (যদি থাকে)।
  8. ক্লিন সিআইবি রিপোর্ট (বিআইবিএল নিজে সংগ্রহ করে থাকে)।

এসব তথ্য ও ডকুমেন্টস নিশ্চিত করে যে আবেদনকারী সত্যিই আর্থিকভাবে যোগ্য এবং দায়িত্বশীল।

ব্যবসায়িদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যারা স্ব-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত বা ব্যবসায়ী, তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস চায় যাতে তাদের আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করা যায়। নিচে ব্যবসায়ীদের জন্য আবশ্যকীয় কাগজপত্র গুলো তুলে ধরা হলো:

  1. ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি।
  3. আপ-টু-ডেট ই-টিআইএন সার্টিফিকেট বা ট্যাক্স রিটার্ন রশিদ (ব্যক্তিগত ও কোম্পানির)।
  4. বৈধ ও নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স।
  5. গত ৬ মাসের কোম্পানির বা ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  6. বিজনেস কার্ড বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কোনো ব্র্যান্ডেড ডকুমেন্ট।
  7. ক্লিন সিআইবি রিপোর্ট।
  8. বাসস্থানের প্রমাণ: বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা টেলিফোন বিলের কপি।

ব্যবসায়ীদের ডকুমেন্টস একটু ভিন্ন হতে পারে কারণ তাদের ইনকাম উৎস নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা কঠিন। তবে এইসব তথ্যের মাধ্যমে ব্যাংক নিশ্চিত হতে পারে গ্রাহক যথাযথ।

ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আরো কিছু পোস্ট

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডের পাশাপাশি আপনি যদি অন্যান্য ব্যাংকের কার্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে চান, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাইড বা আর্টিকেল পড়ে নিতে পারেন। নিচে কিছু প্রাসঙ্গিক এবং ইনফরমেটিভ পোস্টের লিংক দেওয়া হলো:

Related Posts

এই আর্টিকেলগুলো পড়ে আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ব্যাংকের কার্ড আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী।

উপসংহার

বর্তমান সময়ে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক আর্থিক পণ্যগুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, কারণ মানুষ চায় সততা ও হালাল উপার্জনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই দিকটি অত্যন্ত সচেতনভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

উজরাহ ভিত্তিক এই কার্ডটি যেমন নিরাপদ, তেমনি বিশ্বমানের ফিচার দ্বারা সমৃদ্ধ। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক কেনাকাটা, বিল পেমেন্ট, ডিসকাউন্ট অফার, নগদ উত্তোলন সহ নানা সুবিধা – আর সবকিছুই শরিয়াহ মোতাবেক।

যদি আপনি একটি নির্ভরযোগ্য, সুদমুক্ত এবং শরিয়াহ সম্মত ক্রেডিট কার্ড খুঁজে থাকেন, তাহলে IBBL খিদমাহ কার্ড হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। আপনি যদি যোগ্যতা পূরণ করেন, তাহলে আজই আবেদন করুন এবং অভিজ্ঞতা নিন আধুনিক ইসলামিক ফিনান্সের।

FAQs – প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১. ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডে কত দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হয়?

প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে আপনাকে ন্যূনতম বা পূর্ণ বিল পরিশোধ করতে হবে, সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিন সময় থাকে।

২. খিদমাহ কার্ডে কি কিস্তিতে কেনাকাটা করা যায়?

হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কিছু মার্চেন্টের ক্ষেত্রে এই কার্ড দিয়ে কিস্তিতে কেনাকাটা করা যায় এবং তা শরিয়াহ ভিত্তিক কাঠামো অনুসরণ করে।

৩. IBBL খিদমাহ কার্ডে ট্রানজেকশন অ্যালার্ট পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, প্রতিটি লেনদেনের জন্য SMS এবং ই-মেইল অ্যালার্ট সুবিধা দেওয়া হয় যাতে গ্রাহক তার লেনদেন সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকেন।

৪. কার্ড হারালে কী করতে হবে?

কার্ড হারালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে কার্ড ব্লক করে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।

৫. Supplementary কার্ড কি আলাদা ভাবে ব্যবহার করা যায়?

হ্যাঁ, এটি মূল কার্ডের অধীনে থাকলেও পৃথকভাবে ব্যবহারযোগ্য এবং পৃথকভাবে ট্র্যাক করা যায়।

৬. ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডে অনলাইন কেনাকাটা করা যাবে কি?

হ্যাঁ, ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড দিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে অনলাইন কেনাকাটা করা যায়। কার্ডটি VISA গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করে, তাই Amazon, Daraz, AliExpress, Booking.com সহ যেকোনো অনুমোদিত ওয়েবসাইটে লেনদেন করা সম্ভব। অবশ্যই গ্রাহকের কার্ডে আন্তর্জাতিক লেনদেন চালু থাকতে হবে।

৭. প্রাথমিক কার্ডের আবেদনকারীর বয়স কতো হতে হবে?

কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।

৮. বিলম্বে পেমেন্ট চার্জ কত?

প্রতিটি স্তরের কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেমেন্ট না করলে এই চার্জ প্রযোজ্য হয়।

৯. খিদমাহ কার্ড কি সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের মতো?

না, এটি একটি “উজরাহ ভিত্তিক ইসলামিক কার্ড” যেখানে শুধুমাত্র নির্ধারিত সার্ভিস ফি নেয়া হয়, কোনো সুদ বা হারাম উপাদান নেই।

১০. এই কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা যাবে?

হ্যাঁ, VISA নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি বিশ্বের যেকোনো দেশে ব্যবহারের উপযোগী।

১১. মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি কতো?

সিলভার ৫০০, গোল্ড ১০০০ এবং প্লাটিনাম ১৫০০ টাকা। তবে সময়মতো পেমেন্ট করলে এটি মওকুফ হয়।

About the author

Leo
Hey! I'm Leo. I'm always eager to learn new things and enjoy sharing my knowledge with others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.