মতিঝিল কার্যালয় থেকে কিছু সেবা বন্ধ হচ্ছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ করা হচ্ছে। বন্ধ হওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে:
- ছেঁড়াফাটা নোট বদল
- সরকারি চালানের টাকা জমা দেওয়া
- চালানসংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান
- সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও বিক্রি
- প্রাইজবন্ড ক্রয় ও বিক্রি
৩০ নভেম্বরের পর মতিঝিল কার্যালয় থেকে আর এসব সেবা পাওয়া যাবে না। এরপর গ্রাহকদের এসব সেবা নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
সেবাগুলি বন্ধের কারণ
বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিরাপত্তা জোরদার ও ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মতিঝিল কার্যালয়ের এসব সেবা একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মতিঝিল কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঠিক নিচে অবস্থিত এবং ১৯৮৫ সাল থেকে এসব সেবা প্রদান করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে সব শাখা থেকে খুচরা সেবা বন্ধ করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশনায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতে নীতি গ্রহণ ও তদারকায় বেশি মনোযোগী হবে।
কোন সেবা বন্ধ হচ্ছে
মতিঝিল কার্যালয় থেকে ২৮টি কাউন্টারের মধ্যে ১২টি কাউন্টারে ৫টি সেবা বন্ধ করা হচ্ছে। এগুলো হলো:
- নগদ টাকায় সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড কেনাবেচা
- সরকারের ট্রেজারি চালান গ্রহণ
- ভাংতি টাকা প্রদান
- ছেঁড়াফাটা নোট বদল
- অন্যান্য নগদ সম্পর্কিত সেবা
আরও পড়ুনঃ
মতিঝিল কার্যালয়ের ১৬টি কাউন্টারে কিছু সেবা চালু থাকবে, যেমন:
- ধাতব মুদ্রা বিনিময়
- স্মারক মুদ্রা বিক্রয়
- অপ্রচলিত নোটের বিরোধ নিষ্পত্তি
- ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন
সেবাগুলি বন্ধ করার উদ্দেশ্য
জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেপিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মতিঝিল কার্যালয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কারণে ব্যাংকের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
গভর্নর গত ২২ জুন মতিঝিল কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। এর পর একাধিক সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জনসম্পৃক্ত ১০টির মধ্যে আপাতত ৫টি সেবা বন্ধ করা হবে।
গ্রাহকদের জন্য ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “গ্রাহকদের কোনো ভোগান্তি হবে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে যাতে তারা নির্বিঘ্নে সেবা পান। প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"