NID Correction | জাতীয় পরিচয়পত্রের ৭টি তথ্য আর পরিবর্তন করা যাবে না

২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ৭টি তথ্য আর সংশোধন করা যাবে না। কোন তথ্যগুলো পরিবর্তনযোগ্য নয় এবং কোনগুলোর সংশোধন সম্ভব

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। সরকারি সেবা, শিক্ষা, ব্যাংক, স্বাস্থ্যসেবা, মোবাইল সিম নিবন্ধনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে এনআইডি অপরিহার্য। তাই কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৭টি তথ্য আর সংশোধন করা যাবে না—এমন ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কেন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করা যাবে না?

আগে অনেক ধরনের তথ্য সহজেই পরিবর্তন করা যেত, কিন্তু ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যাচাই জটিলতা ও ডুপ্লিকেট তথ্যের ঝুঁকি কমাতে কিছু তথ্য পরিবর্তন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি করা হয়েছে যেন ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি না থাকে।

Nid

নিচের কারণগুলোও এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে:

  • একই ব্যক্তির একাধিক পরিচয় তৈরির ঝুঁকি

  • অতিরিক্ত ভুয়া আবেদন জমা পড়া

  • তথ্য যাচাইয়ের অতিরিক্ত চাপ

  • ডুপ্লিকেট রেকর্ড তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা

  • ভোটার এলাকার সঠিক শনাক্তকরণ সমস্যা

জাতীয় পরিচয়পত্রের যে ৭টি তথ্য সংশোধন করা যাবে না

বর্তমান নিয়মে নিচের ৭টি তথ্য আপাতত পরিবর্তন করা যাবে না:

১. নাম

নাম পরিচয়ের মূল ভিত্তি। ভুল থাকলেও এ মুহূর্তে পরিবর্তন করা যাচ্ছে না।

২. বাবার নাম

বাবার নাম পরিবারিক পরিচয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ, তাই পরিবর্তন স্থগিত রয়েছে।

৩. মায়ের নাম

মায়ের নামও পরিচয় যাচাইয়ের সঙ্গে জড়িত এবং পরিবর্তন বন্ধ রয়েছে।

৪. পেশা

পেশা এখন স্থায়ী তথ্য হিসেবে বিবেচিত; যাচাই ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়।

৫. জন্মতারিখ

জন্মতারিখ ভোটার তালিকা ও পরিচয় যাচাইয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি পরিবর্তন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

৬. ভোটার ঠিকানা

ভোটার এলাকার পরিবর্তনের ঝুঁকি থাকায় ঠিকানা পরিবর্তনও বন্ধ।

৭. ছবি

ছবি বায়োমেট্রিক মুখ শনাক্তকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই পরিবর্তন করা যাচ্ছে না।

এগুলোতে আবেদন জমা দিলে আপাতত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

Related Posts

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করার নিয়ম

যেসব তথ্য এখনো সংশোধন করা যায়, সেগুলোর জন্য অনলাইনে নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়।

  1. ধাপ ১: NID সেবাসাইটে লগইন
    www.nidw.gov.bd -এ গিয়ে অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।

  2. ধাপ ২: Correction Option নির্বাচন
    “Information Correction” মেনুতে যান।

  3. ধাপ ৩: পরিবর্তনযোগ্য অপশন নির্বাচন
    যেসব তথ্য পরিবর্তন করা যাবে, সেগুলো থেকে নির্বাচন করুন।

  4. ধাপ ৪: প্রমাণপত্র আপলোড
    সাধারণত যেসব ডকুমেন্ট লাগে — বিবাহ সনদ, SSC/পাসপোর্ট কপি, প্রতিবন্ধী সনদ, শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

  5. ধাপ ৫: ফি পরিশোধ
    প্রয়োজনীয় সরকারি ফি পরিশোধ করতে হয়।

  6. ধাপ ৬: যাচাই প্রক্রিয়া
    নির্বাচন কমিশন তথ্য যাচাই করে অনুমোদন দেয়।

বর্তমানে যেসব তথ্য পরিবর্তন করা যাবে:

  • স্বামী/স্ত্রীর নাম

  • বৈবাহিক অবস্থা

  • ধর্ম

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা

  • মোবাইল নম্বর

  • প্রতিবন্ধকতার ধরণ

NID-এর কোন কোন তথ্য ২০২৫ অনুযায়ী পরিবর্তন করা যাবে না?

নতুন নিয়ম অনুযায়ী নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্মতারিখ, পেশা, ভোটার ঠিকানা ও ছবি – এই ৭টি তথ্য আপাতত পরিবর্তন করা যাচ্ছে না।

কেন NID-এর এসব তথ্য পরিবর্তন বন্ধ রাখা হয়েছে?

২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ভুল বা ডুপ্লিকেট রেকর্ডের ঝুঁকি কমাতে নির্বাচন কমিশন পরিচয়-সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো পরিবর্তন সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।

অনলাইনে NID সংশোধন করতে কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে?

সরকারি অফিসিয়াল সাইট www.nidw.gov.bd থেকে NID সংশোধনের আবেদন করা যায়। এখানে লগইন করে পরিবর্তনযোগ্য তথ্য নির্বাচন করতে হয়।

কোন কোন তথ্য এখনো অনলাইনে পরিবর্তন করা যায়?

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী স্বামী/স্ত্রীর নাম, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল নম্বর এবং প্রতিবন্ধকতার তথ্য পরিবর্তন করা যায়।

NID তথ্য সংশোধনে কী কী কাগজপত্র লাগবে?

SSC সনদ, বিবাহ সনদ, পাসপোর্ট কপি, প্রতিবন্ধী সনদ, শিক্ষাগত সার্টিফিকেটসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যের প্রমাণ আপলোড করতে হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি ফি প্রযোজ্য।

জন্মতারিখ ভুল হলে কী করা যাবে?

জনমতারিখ সংশোধন আপাতত বন্ধ। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিলে তখন নতুন করে আবেদন করা যাবে।

NID ছবির ভুল কি এখন পরিবর্তন করা যাবে?

না, ছবি বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণের অংশ হওয়ায় আপাতত ছবি পরিবর্তনের সুবিধা বন্ধ রয়েছে।

উপসংহার

জাতীয় পরিচয়পত্রের যে ৭টি তথ্য সংশোধন করা যাবে না—এই নিয়ম নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রমাণপত্র প্রস্তুতের আগেই জানা উচিত কোন তথ্য পরিবর্তনযোগ্য এবং কোনগুলো নয়। ভবিষ্যতে নাম, জন্মতারিখ বা ঠিকানা সংশোধনের নতুন সিদ্ধান্ত এলে আবেদনকারীরা আবার আবেদন করতে পারবেন।

সঠিক নিয়ম জেনে আবেদন করলে NID সংশোধন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

About the author

Leo
Hey! I'm Leo. I'm always eager to learn new things and enjoy sharing my knowledge with others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.