ই-রিটার্ন (E-Return) সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২২

ই-রিটার্ন (E-Return) সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২২
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 ই-রিটার্ন (E-Return) সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২২


 ই-রিটার্ন 2022 


গত বছর যখন ই-রিটার্ন (2021 ভার্সন) প্রথমবারের মতো চালু হলো, এর অভিনব কিছু ফিচারের বিষয়ে  অনেকের কিছু দ্বিধা ছিলো, প্রশ্ন ছিলো। 

‘কোনো attachment লাগবে না? আসলেই?’  

‘অনলাইনে রিটার্ন submit করে আবার সার্কেলে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হবে না তো?’

‘অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার সাথে সাথে যে acknowledgment slip ইস্যু হচ্ছে ওটা কি সত্যি valid প্রাপ্তি স্বীকার?   

‘সত্যি কি ঘরে বসে ট্যাক্স দেয়া যায়?’ 

‘অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করার সাথে সাথে assessment কি সত্যি সত্যি কমপ্লিট হয়ে যায়? আসলেই কি ট্যাক্স সার্টিফিকেট সাথে সাথে সিস্টেম থেকে ইস্যু হয়ে যায়?'

এ রকম আরও অনেক জিজ্ঞাসা নিয়মিত এসেছে।  


আনন্দের কথা, ই-রিটার্ন সিস্টেমে যারা গতবার রিটার্ন দিয়েছেন, অভিনব ফিচারগুলোর পরিচয় পেয়েছেন, তারা অনেকে appreciation জানিয়েছেন। মূল্যবান অনেক পরামর্শও দিয়েছেন।  


ই-রিটার্ন সিস্টেম ডিজাইন করার সময় মূল চাওয়া ছিলো রিটার্ন সাবমিশনটা যেন করদাতার জন্য একদম সহজ হয়। সেই সাথে, করদাতার সব তথ্য যেন নিরাপদ থাকে।  


রেজিস্ট্রেশন যেমন। খুবই সহজ। নিজের কম্পিউটার/মোবাইল থেকে  যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় বসে ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করে আইডি-পাসওয়ার্ড নেয়া যায়। এরপর সেই আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে রিটার্ন দেয়া যায়, অনলাইনে ট্যাক্স দেয়া যায়। সিস্টেম থেকে সারা বছর যখন খুশি রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকার, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নেয়া যায়।  


তথ্যের নিরাপত্তা যাতে থাকে সেটাও নিশ্চিত করা আছে। নিজের NIDর বিপরীতে নিবন্ধিত ফোন নম্বর দিয়ে ই-রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। ওই ফোনেই OTP যায়। একজনের আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়ে আরেকজনের রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ থাকে না। নিজের তথ্য অজান্তে অন্য কারো হাতে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে না।





২.

ই-রিটার্ন সিস্টেম খুবই ইউজার-ফ্রেন্ডলি। কোনো কাগজপত্র attach করতে হয়না। যদি ট্যাক্স হয়, অনলাইনে ঘরে বসেই সেটা দেয়া যায়। ট্যাক্স জমার চালানও সাথে সাথে সিস্টেমে চলে আসে। 

রিটার্ন সাবমিট করার সাথে সাথে সিস্টেমেই অ্যাসেসমেন্ট হয়ে যায়, প্রাপ্তি স্বীকার, ট্যাক্স সার্টিফিকেট সব instantly তৈরি হয়ে যায়। যখন খুশি সেগুলোর সফটকপি নেয়া যায়। প্রিন্ট নেয়া যায়। 


আরো আছে। 

আয়করের আইন-বিধি বা হিসাব-নিকাশ অনেকের কাছে জটিল লাগে। কোন্ আয় করযোগ্য, কোনটা করমুক্ত, করযোগ্য আয় হিসাব করার সময় কোন খরচটা বাদ যাবে, কোনটা যোগ হবে, কোন্  বিনিয়োগে কর রেয়াত আছে, কোনটাতে নেই - এসব নানান বিষয়ে অনেকের সংশয় থাকে।

আইন বা হিসাব-নিকাশ জানা না থাকলেও অসুবিধা নেই। ই-রিটার্ন নিজেই হিসাব করতে পারে। বেসিক তথ্যগুলো সিস্টেমে দিলে সিস্টেমই সব ক্যালকুলেশন করে দেয়। Income কত, ট্যাক্স কত, রেয়াত কত, সব কিছু হিসাব করে সিস্টেম নিজেই রিটার্ন বানিয়ে দেয়। 


গতবার ই-রিটার্ন শুরুর বছরে ৬১ হাজারের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন। অনলাইনে টাইম এক্সটেনশন নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রথম বছর ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করেছেন। 

আশা করা যায় এ বছর সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে।


পেপার রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্যও ই-রিটার্ন সিস্টেম কাজে লাগছে। ই-রিটার্ন সিস্টেমের নির্ভুল calculation সুবিধা ব্যবহার করে সিস্টেম থেকে রিটার্ন বানিয়ে প্রিন্ট করে পেপার রিটার্ন সার্কেলে দাখিল করা যায়। যেটাকে বলা হয় ই-রিটার্নের “Offline" অপশন।  

গত বছর অনলাইন রিটার্নের পাশাপাশি হাজার হাজার করদাতা এই eReturn Offline অপশন ব্যবহার করেছেন।


৩.

অনেক কাজে আগে TIN দেখাতে হতো। এবার নতুন বিধান হয়েছে, ঐসব কাজে এখন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হবে। 

এ প্রমাণটা অনেকের লাগবে। ফলে অনেক নতুন করদাতাকে এ বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। 

ই-রিটার্ন সিস্টেমটা তাদের জন্য খুব convenient হবে।  


নতুন করদাতাদের অনেকেরই করযোগ্য সীমার নীচে আয় থাকবে। তাদের রিটার্ন হবে ছোট। অনেকে যেটাকে ‘জিরো রিটার্ন’বলে থাকেন। ই-রিটার্ন সিস্টেম থেকে এই ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল করা অভাবনীয় সহজ। কয়েক ক্লিকেই রিটার্ন দেওয়া হয়ে যায়।    


আগে থেকেই যেমন আছে, অনলাইনে রিটার্ন দেয়ার সাথে সাথে প্রাপ্তি স্বীকার বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে যায়। এবছর আরেকটা সুবিধা যোগ হচ্ছে; রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক Verification Slipও ইস্যু হবে। এটাও সারা বছর যে কোনো সময় সিস্টেম থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।

ভেরিফিকেশন স্লিপটা যাদের নিকট দাখিল করা হবে তারা মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটার থেকে অনলাইনে instantly স্লিপটা ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।


৪. 

অনেকেই জানতে চাইছেন ই-রিটার্ন 2022 ভার্সন কবে থেকে চালু হবে? 


কর আইনে পরিবর্তন এলে ই-রিটার্ন সিস্টেমে কিছু আপগ্রেডেশন দরকার পড়ে। নতুন ফিচার যোগ করতে হয়। 

আপগ্রেডেশনের পর কয়েক পর্বের টেস্টিং করে তারপর লাইভে দেয়া যায়। 


সব কাজ শেষ করে খুব দ্রুত যাতে ই-রিটার্ন লাইভে আসে সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। আশা করা যায় আগামী মাসেই eReturn 2022 লাইভে আসবে। 


শুভ কামনা। 🧡

১৩ জুলাই ২০২২



About the Author

Hey! I'm Daud, Currently Working in IT Company BD. I always like to learn something new and teach others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.