পাসপোর্ট কি,বাংলাদেশে পাসপোর্ট কত প্রকার,বানানোর প্রক্রিয়া কি?

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 আসসালামু আলাইকুম দাউদ বিডি ব্লগে আপনাকে স্বাগতম । আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পাসপোর্ট কি ,বাংলাদেশে পাসপোর্ট কত প্রকার,কোন রঙের পাসপোর্ট কার জন্য,বিশেষ পাসপোর্ট  কি,পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়া ,পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে।

Types of Passport

পাসপোর্ট কি:

বাংলাদেশ পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশে ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত দলিল। জন্মসূত্রে বা অভিবাসনসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে এটি বাংলাদেশ সরকার প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস হতে পাসপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর আর সব দেশে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে।

বাংলাদেশে ৩ রকমের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়

১। আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট)

২। সরকারী পাসপোর্ট (সবুজ মলাট, প্রথম পাতায় নীল সিলমোহর)

৩। কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট)

পাসপোর্ট কত প্রকার:

বাংলাদেশ সরকার তিনটি বিভিন্ন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে। এগুলি হল কূটনৈতিক, দাপ্তরিক এবং নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট।

 ১. সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট) :এটা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়। যেমন: চিকিৎসা, ছুটি, অধ্যয়ন, ব্যবসা, ভ্রমণ ইত্যাদি।

২.দাপ্তরিক পাসপোর্ট (নীল মলাট) :সরকারী কর্মচারী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারী ব্যবসায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের জারি করা হয়েছে।

৩.কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট): বাংলাদেশি কূটনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক কুরিয়ার জারি করা হয়।

বিশেষ পাসপোর্ট(স্পেশাল পাসপোর্ট, মেরুন মলাট) :এটি ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত ছিলো! যা বাংলাদেশী নাগরিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছিল। মূলত, এটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বৈধ ছিল। পরবর্তীতে ICAO এর নিয়ম পরিবর্তনের কারণে এই পাসপোর্টের ইস্যু ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

কোন রঙের পাসপোর্ট কার জন্য?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রঙ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু যে দেশ যে রঙ এরই পাসপোর্ট দিক না কেন, সেটি অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন আইকাওর কাছ থেকে পাসপোর্ট এর রঙের আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়।

তবে সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন ডের হয়। বাংলাদেশে সাধারণভাবে সকলের জন্য সবুজ রং এর পাসপোর্ট চালু থাকলেও, দেশে আরো দুটি রং অর্থাৎ নীল এবং লাল পাসপোর্ট চালু রয়েছে। কাদের জন্য কোন রঙ এর পাসপোর্ট? চলুন জেনে নেওয়া যাক!

সবুজ পাসপোর্ট

জন্ম ও বৈবাহিক উভয় সূত্রে বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য সবুজ পাসপোর্ট। এই রঙের পাসপোর্টে বিদেশে গমনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রয়োজন হয়।

নীল পাসপোর্ট

নীল রঙের পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। এ পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন বা গভর্নমেন্ট অর্ডার (GO) প্রয়োজন হয়। নীল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অন্তত ২৭ দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

লাল পাসপোর্ট

লাল পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্পাউস অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী। এছাড়া উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পান।লাল পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসা প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান।

বিশেষ পাসপোর্ট

এটি ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত ছিলো! যা বাংলাদেশী নাগরিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছিল। মূলত, এটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বৈধ ছিল। পরবর্তীতে ICAO এর নিয়ম পরিবর্তনের কারণে এই পাসপোর্টের ইস্যু ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া।

পাসপোর্ট বানানোর প্রক্রিয়া :

পাসপোর্ট অফিস থেকে বিনামূল্যে দুটি ফরম সংগ্রহ করুন।

ফরমটি ভালো করে সব তথ্য ঠিকঠাকমতো পূরণ করুন।

আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে, ৬৪ পাতা-সংবলিত ও ৪৮ পাতা-সংবলিত।

আপনি কত পাতার পাসপোর্ট করবেন সে অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখার কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে একটি রশিদ বুঝে নিন। তারপর পূরণ করা পাসপোর্ট ফরম দুটির প্রথম পৃষ্ঠায় একটি করে পাসপোর্ট সাইজের (৪০x৫০ মি· মি·) ছবি আঠা দিয়ে লাগান এবং আরও একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও একটি স্ট্যাম্প সাইজের (৩০x৩০ মি· মি·) ফরমের ওপরে একসঙ্গে পিনআপ করে দিন।

ফরমের ওপরে নির্দিষ্ট জায়গায় সোনালী ব্যাংক থেকে পাওয়া টাকা জমার রশিদটি আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিন। আঠা দিয়ে লাগানো ছবির ওপরে সত্যায়ন করুন এবং সত্যায়নকারী ব্যক্তি দ্বারা তৃতীয় পাতায় নির্ধারিত স্থানপূরণ করুন (সত্যায়নকারীর পদবিসহ নাম, স্বাক্ষর ও সিলমোহর দিতে হবে)। পূরণকৃত ফরমটি পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট বুথে জমা দিয়ে রশিদ বুঝে নিন। রশিদে উল্লিখিত বিতরণের তারিখ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথ থেকে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করুন।

আবেদনের সঙ্গে যে কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে:

১। চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত সনদ/ ভোটার আই ডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিদ্যুৎ/গ্যাস/ পানির বিল/ বাড়ির দলিলের ফটোকপি (এই কাগজপত্রাদি নিজ নামে না থাকলে পিতার নামে/ মাতার নামে/ স্বামীর নামে থাকতে হবে)।

২। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৩। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

ঢাকার সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় পাসপোর্ট ফি জমা নেওয়া হয়

মগবাজার, মালিবাগ, আগারগাঁও শাখা, কলেজগেট মোহাম্মদপুর, সদরঘাট, দিলকুশা, সেগুনবাগিচা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, মহাখালী ও আওলাদ হোসেন মার্কেট শাখা, ফার্মগেট।

কোথা থেকে পাসপোর্ট বানাতে হবে:

ক· আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে যাঁরা বানাতে পারবেন

ঢাকা শহরের সবুজবাগ, মতিঝিল, পল্টন, রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুর, শাহ আলী, পল্লবী, কাফরুল, তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, খিলগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত, উত্তরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তুরাগ, আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাই থানা এলাকার বসবাসকারীরা এখান থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।

খ· ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যাঁরা বানাতে পারবেন

ঢাকা মহানগরের ও জেলার বাকি ১০টি থানা যেমন- দোহার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরের শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় বসবাসকারীরা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন

গ· বাংলাদেশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলো:

দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারীরা নিচের আঞ্চলিক অফিস থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন-

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, চট্টগ্রাম, ফোনঃ ০৩১ ২৫৫০০১০।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, রাজশাহী, ফোনঃ ০৭২১ ৭৭২২৪৮।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বরিশাল, ফোনঃ ০৪৩১ ৬৪৫৪৯।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিলেট, ফোনঃ ০৮২১ ৭১৪০২২।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, খুলনা, ফোনঃ ০৪১ ৭৩২১৪৬।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ময়মনসিংহ, ফোনঃ ০৯১ ৬৬৩৫৭।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, যশোর, ফোনঃ ০৪২১ ৬৮৫১০।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, নোয়াখালী, ফোনঃ ০৩২১ ৬১৭০৪।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, রংপুর, ফোনঃ ০৫২১ ৬৫২৫০।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কুমিল্লা, ফোনঃ ০৮১ ৬৫৭৮৫।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফরিদপুর, ফোনঃ ০৬৩১ ৬২৭৮৭।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, গোপালগঞ্জ, ফোনঃ ০৬৬৮ ৫৭০৮৯। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিরাজগঞ্জ, ফোনঃ ০৭৫১ ৬২৯০৩।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, হবিগঞ্জ, ফোনঃ ০৮৩১ ৫২৮৯৪।

ঘ· এ ছাড়া প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাসপোর্টের আলাদা শাখা আছে, সেখান থেকে ওই জেলায় বসবাসকারীরা পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।

ঙ· প্রতিটি জেলার জিপিও থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।

চ· ঢাকায় জিপিও ছাড়াও ঢাকার যেসব ডাকঘর থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন- ক্যান্টনমেন্ট পোস্ট অফিস, মিরপুর-২ সাব পোস্ট অফিস, নিউ মার্কেট সাব পোস্ট অফিস, উত্তরা সাব পোস্ট অফিস, মোহাম্মদপুর সাব পোস্ট অফিস, খিলগাঁও সাব পোস্ট অফিস, গুলশান সাব পোস্ট অফিস, বনানী সাব পোস্ট অফিস, সদরঘাট সাব পোস্ট অফিস, ওয়ারী সাব পোস্ট অফিস ও ডেমরা সাব পোস্ট অফিস।

ছ· ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।

শাখাগুলো হচ্ছে- দিলকুশা কর্পোরেট শাখা, গুলশান কর্পোরেট শাখা, উত্তরা কর্পোরেট শাখা, ধানমন্ডি কর্পোরেট শাখা, মিলিনিয়াম কর্পোরেট শাখা, কাওরানবাজার শাখা, মিরপুর শাখা, জয়পাড়া শাখা, দোহার শাখা, ঢাকা; আগ্রাবাদ শাখা, চট্টগ্রাম; সিডি এভিনিউ শাখা, চট্টগ্রাম; কুমিল্লা সেনানিবাস শাখা, কুমিল্লা; ফেনী শাখা, সিলেট; কর্পোরেট শাখা, বিয়ানীবাজার শাখা, সিলেট; গোয়ালাবাজার শাখা, সিলেট; মৌলভীবাজার শাখা, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ শাখা ও এনায়েতপুর শাখা সিরাজগঞ্জ।

ওয়ানস্টপ সার্ভিস

ওয়ানস্টপ সার্ভিস পাওয়ার জন্য আপনাকে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই ফরম সংগ্রহ করা জমাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।

ফির পরিমাণঃ

৬৪ পাতার জন্য ৬০০০ হাজার টাকা, ৪৮ পাতার জন্য ৫০০০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে ২-৩ ঘণ্টা

যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করলে ফি লাগবে ৫০০ টাকা।

নবায়ন করলে ফি লাগবে ২,৫০০ টাকা।

উল্লেখ্য, ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদান করে পুলিশ ভেরিফিকেশন পাঠানো হয়। যদি বিরূপ প্রতিবেদন পাওয়া যায় তাহলে পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

নতুন পাসপোর্ট প্রদানের সময়সীমাঃ

ক) অতিজরুরীঃ পুলিশ প্রতিবেদন স্থগিত রেখে (৭২) ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে । বিরুপ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খ) জরুরীঃ পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এগার (১১) দিন পরে অন্যথায় ২১ দিন পরে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে ।

গ) সাধারণঃ পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে একুশ (২১) দিন পরে অন্যথায় ৩০ দিন পরে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে । বিরুপ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

** সরকারী/আধাসরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য ফিস । ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা এবং ৭২ ঘন্টায় পাসপোর্ট প্রদান করা হবে ।

** ১০ বছর উত্তীর্ণ/বিদ্যমান পাসপোর্টের পরিবর্তে নতুন পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জরুরী ফি প্রদান করলে বাহাত্তর (৭২) ঘন্টার মধ্যে এবং সাধারণ ফি প্রদান করলে ৭ (সাত) কর্মদিবসের পরে তা প্রদান করা হবে ।

** পাসপোর্ট সাধারণত ১০ (দশ) বছর মেয়াদী । কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী পাসপোর্ট দেওয়া হবে ।

নবায়ন করতে হলে:

পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে সেই পাসপোর্টই পুনরায় আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যায়।

এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের দ্বিতীয় অংশসহ (নবায়ন) পূরণ করে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার রশিদসহ যে অফিস থেকে পাসপোর্ট তোলা হয়েছিল সেই অফিসে জমা দিতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হলে সেই পাসপোর্টকে জমা দিয়ে নতুন পাসপোর্ট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের নির্ধারিত অনুচ্ছেদ পূরণ করে ১০ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর এর জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার রশিদ এবং সারেন্ডার করা পাসপোর্টসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে নবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। যদি সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকে তবে নিকটস্থ অন্য কোনো দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে

পাসপোর্ট হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ থানায় পাসপোর্টের নাম, নম্বরসহ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। আবেদনপত্রের প্রথম অংশের হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ পূরণ করে বিকল্প পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সেই রশিদ, আবেদনপত্র এবং জিডি এন্ট্রি কপি হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টটি যে অফিস থেকে তোলা হয়েছিল সে অফিসেই জমা দিতে হবে। জরুরি হলে ৭-১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নিকটস্থ পুলিশকে জানাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। যদি সে দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকে তবে নিকটস্থ অন্য কোনো দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও পাসপোর্ট করা যাবে।

পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১· আবেদনকারী নির্ধারিত আবেদন ফরম অথবা আবেদন ফরমের অবিকল টাইপ/ সাইক্লোস্টাইল/ ফটোকপিকৃত ফরমেও আবেদন করতে পারবেন।

২· আবেদন ফরমটি ইংরেজি অথবা বাংলায় পূরণ করতে পারবেন।

৩· আবেদনকারীকে তিনটি পাসপোর্ট সাইজের (৪০ঢ৪০ মি·মি·) ও একটি স্ট্যাপ সাইজ (৩০ ঢ ৩০ মি·মি·) দরকার। একটি করে ৪০ ঢ ৫০ মি·মি· আকারের ছবি দুটি আবেদনপত্রের প্রতিটির প্রথম পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানে লাগাতে হবে এবং সত্যায়ন করতে হবে।

৪· ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পৃথক পাসপোর্টর ক্ষেত্রে মা ও বাবা দুজনের অথবা বৈধ অভিভাবকের ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি দুটি আবেদনপত্রের প্রতিটি প্রথম পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানে লাগাতে হবে এবং সত্যায়ন করতে হবে।

৫· প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড (যদি থাকে), অথবা প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলোর (যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি)

৬· নতুন পাসপোর্টে ১২ বছরের কম বয়সী সন্তানের নাম অন্তভুêক্তির ক্ষেত্রে চার কপি ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি লাগাবে। দুটি ফরমেই প্রতিজনের একটি করে ছবি লাগিয়ে ছবির ওপরে সত্যায়ন করতে হবে ও দুটি অতিরিক্ত ছবি দিতে হবে (ফরমের প্রথম অংশের ২৩ নম্বর এন্ট্রি দ্রষ্টব্য)।

৭· বিদ্যমান পাসপোর্টে ১২ বছরের কম বয়সী সন্তানদের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে চার কপি ৩০ ঢ ৩০ মি·মি· আকারের ছবি লাগাবে। দুটি ফরমেই প্রতিজনের একটি করে ছবি লাগিয়ে ছবির ওপরে সত্যায়ন করতে হবে ও দুটি অতিরিক্ত ছবি জমা দিতে হবে (ফরমের প্রথম অংশের ২৩ নম্বর এন্ট্রি দ্রষ্টব্য)

৮· ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের প্রথম অংশের

১৪, ১৫, ১৬ নম্বর এন্ট্রি পূরণপূর্বক পিতা অথবা মাতা অথবা বৈধ অভিভাবক স্বাক্ষর করবেন।

৯· আবেদনপত্রের চতুর্থ অংশ (অঙ্গীকার) এবং ষষ্ঠ অংশের নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীকে দুই স্থানে একই ধরনের স্বাক্ষর বা টিপসই দিতে হবে।

বক্সের ভেতরের স্বাক্ষর বা টিপসইটি পাসপোর্টে লাগানো হবে।

১০· নিম্নেবর্ণিত ব্যক্তিরা পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি সত্যায়ন করতে পারবেন-

সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও কমিশনার, গেজেটেড কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা, বেসরকারি কলেজের শিক্ষক, বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, পৌর কমিশনাররা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় স্কেলের সপ্তম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।

১১· আবেদন ফরমে আঠা দিয়ে লাগানো ছবির ওপরে এমনভাবে সত্যায়ন করতে হবে, যাতে সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর ও সিলমোহর ছবির ও ফরমের কিছু অংশজুড়ে পড়ে এবং একই কর্মকর্তা ছবির ওপরে ও ফরমের পঞ্চম অংশে সত্যায়ন করবেন।

১২· নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের হলফনামা (এভিডেভিট) অথবা পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি আবশ্যক হবে।

১৩· বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা জন্ম সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধীকরণ সনদ আবশ্যক হবে।

১৪· পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পেশার সপক্ষে সনদ আবশ্যক হবে।

১৫· স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা অথবা ভোটার পরিচয়পত্র অথবা ফরমের ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ অথবা পরিবর্তিত ঠিকানা সম্পর্কে যেকোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আবশ্যক হবে।

১৬· সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে ওই সন্তানের জন্ম সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।

সেবার সময়

ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া হয় প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১·৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর পাসপোর্ট বিতরণ করা হয় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) বাদ দিয়ে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন খোলা থাকে।

যেকোনো ধরনের অভিযোগ

কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগারগাঁও, ঢাকা'র উপপরিচালক-এর সাথে (কক্ষ-২০৩, দ্বিতীয় তলা)। ফোনঃ ৮১৫৯৫২৫।

ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

পাসপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

২০২৩-এর শেষ হালনাগাদ অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট করতে লাগে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদপত্র, নাগরিক সনদপত্র, পেশা প্রমাণের কাগজ।ে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে??

পাসপোর্ট ফিস: বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- * ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পেজের ই পাসপোর্টের রেগুলার ফিস ৪০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস ফিস ৬৩২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফিস ৮৬২৫ টাকা। * ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পেজের ই পাসপোর্টের রেগুলার ফিস ৫৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ফিস ৮০৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফিস ১০৩৫০ টাকা।

অনলাইনে পাসপোর্ট নাম্বার চেক?

আপনার পাসপোর্ট নম্বর অনলাইনে দেখার একমাত্র উপায় হল আপনি যদি এটি কোনো ওয়েবসাইটে বা কোনো বিমান সংস্থার মতো কোনো ভ্রমণ কোম্পানিতে সংরক্ষণ করেন ।

পাসপোর্ট নাম্বার কি?

একটি পাসপোর্টে থাকা অনন্য, সনাক্তকারী নম্বর, একটি জাতীয় সরকার কর্তৃক জারি করা একটি নথি । এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এর ধারকের পরিচয় এবং জাতীয়তা প্রত্যয়িত করে। পাসপোর্ট মেয়াদ শেষের তারিখ.

আমার পাসপোর্ট কি ই পাসপোর্ট?

আপনার পাসপোর্ট বায়োমেট্রিক কিনা তা জানার সহজ উপায় হল কভার দেখে। নীচে যদি একটি ছোট, সোনার ক্যামেরার লোগো থাকে, তাহলে এটি বায়োমেট্রিক । অন্যথায়, একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের মধ্যে থাকা প্রযুক্তি এত উন্নত এবং উপাদানগুলি এত ছোট হয়ে গেছে যে আপনি কোনও গলদ বা রিজ অনুভব করতে পারবেন না।

শেষকথা

আজকের আর্টিকেলে পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা কোন উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সকলের মাঝে শেয়ার করে অন্যদেরকেও উপকৃত করবেন, ধন্যবাদ |

About the Author

Hey! I'm Daud, Currently Working in IT Company BD. I always like to learn something new and teach others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.