মেট্রোরেল বিদ্যুৎ খরচ, মেট্রোরেল মাসিক খরচ, ঢাকা মেট্রোরেল, ডিএমটিসিএল, মেট্রোরেল পরিচালনা ব্যয়, মেট্রোরেল যাত্রী সংখ্যা, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি, মেট্রোরেল ব্যয় বিশদ, বাংলাদেশের মেট্রোরেল
মেট্রোরেল পরিচালনায় মাসে বিদ্যুৎ খরচ ৬ কোটি টাকা
ঢাকা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম মেট্রোরেল চালাতে মাসে গড়ে ৬ কোটি টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আফতাবুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ বিল এবং অন্যান্য পরিচালন ব্যয়
ডিএমটিসিএলের হিসাব অনুযায়ী, মেট্রোরেল পরিচালনায় প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ছয় কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি ম্যানপাওয়ার ও আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবেও ছয় কোটি টাকার মতো খরচ হয়। ম্যানপাওয়ারের ক্ষেত্রে দুটি ভাগ রয়েছে, একটি কোম্পানির নিজস্ব ম্যানপাওয়ার এবং অন্যটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ম্যানপাওয়ার, যাদের বেতন যথাক্রমে কোম্পানি ও প্রকল্প তহবিল থেকে প্রদান করা হয়।
বিদ্যুৎ খরচের প্রধান কারণ
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, "বিদ্যুৎ বিলই আমাদের প্রধান খরচের ক্ষেত্র। প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে মেট্রোরেল ২০০ বার যাতায়াত করে। শুক্রবার চলাচল করে ৬০ বার।"
মেট্রোরেলের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ও চলাচল সূচি
প্রতিটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২,৩০৮ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এতে করে দৈনিক যাত্রী চাপ ও ট্রেন চলাচলের ফ্রিকোয়েন্সির কারণে বিদ্যুৎ খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়। প্রতি ট্রিপে শক্তিশালী ইঞ্জিন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে অধিক বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়।
মতবিনিময় সভার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন এবং রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মুনিমা সুলতানা।
উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালকগণও
ডিএমটিসিএলের বিভিন্ন লাইনের প্রকল্প পরিচালকগণও এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। তারা মেট্রোরেল পরিচালনার বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।