প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি একটি শক্তিশালী হালুয়া যা পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। যৌনদুর্বলতা, লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা ও দ্রুতবীর্যপাতের ঘরোয়া সমাধান হিসেবে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
উপকরণ ও পরিমাণ
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| অশ্বগন্ধা চূর্ণ | ৫০ গ্রাম |
| শিমুলমূল চূর্ণ | ৫০ গ্রাম |
| দ্রাক্ষা চূর্ণ | ৫০ গ্রাম |
| শতমূল চূর্ণ | ৫০ গ্রাম |
| কাবাব চিনি চূর্ণ | ৩০ গ্রাম |
| ত্রিফলা চূর্ণ | ৮০ গ্রাম |
| জাফরান | ২ গ্রাম |
| বীর্য মনি | ৫০ গ্রাম |
| তেতুল বীজ চূর্ণ | ৩০ গ্রাম |
| কাতিলা গাম | ২০ গ্রাম |
| তালমাখানা | ৩০ গ্রাম |
| তালমুল | ৩০ গ্রাম |
| ভূইকুমড়া | ৩০ গ্রাম |
| পানিফল শাঁস | ৩০ গ্রাম |
| তোকমা দানা | ২০ গ্রাম |
| গোক্ষুর চূর্ণ | ৩০ গ্রাম |
| আখরোট | ৫০ গ্রাম |
| তাজা নারকেল | ৫০ গ্রাম |
| পোস্তদানা | ৩০ গ্রাম |
| তিল (খোসা ছাড়া) | ৩০ গ্রাম |
| লাল বামন চূর্ণ | ৩০ গ্রাম |
| সাদা বামন চূর্ণ | ৩০ গ্রাম |
| শুঁঠ চূর্ণ | ১৫ গ্রাম |
| পিপুল চূর্ণ | ১৫ গ্রাম |
| আকরকরা চূর্ণ | ১৫ গ্রাম |
| পেঁয়াজ বীজ | ১৫ গ্রাম |
| শালগম বীজ | ১৫ গ্রাম |
| আলকুশী বীজ | ১৫ গ্রাম |
| গাজর বীজ | ১৫ গ্রাম |
| দারচিনি চূর্ণ | ১০ গ্রাম |
| যত্রিক | ৩০ গ্রাম |
| মধু (খাঁটি) | ৫০০–৬০০ গ্রাম (বা প্রয়োজন অনুযায়ী) |
প্রস্তুত প্রণালী
- প্রথমে সব উপকরণ ভালোভাবে শুকিয়ে নিন এবং একসঙ্গে একটি বড় স্টিলের পাত্রে মিশিয়ে নিন।
- ধাপে ধাপে মধু মেশাতে থাকুন যাতে সব উপাদান একসঙ্গে একটি সেমি-সলিড আকার ধারণ করে।
- মিশ্রণটি এমনভাবে গুলে নিন যাতে চামচে তোলা যায়, কিন্তু খুব বেশি পাতলা না হয়।
- চাইলে শুকনো নারকেল ও আখরোট গুঁড়া করে শেষে মেশাতে পারেন অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য।
- হালুয়া তৈরি হয়ে গেলে কাঁচের জারে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
Related Posts
খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন কতবার খাবেন?
১ চা চামচ পরিমাণ হালুয়া প্রতিদিন রাতে শোবার আগে খেতে হবে। একটানা ২–৩ মাস সেবন করলে ফল পাওয়া যায়।
সতর্কতা
- উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করুন।
- গরম স্থানে রাখবেন না, ফ্রিজে রাখাই উত্তম।
- বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
শেষ কথা
যৌনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এই প্রাকৃতিক হালুয়া একটি কার্যকর ঘরোয়া সমাধান হতে পারে। তবে এটি কোনো চিকিৎসকের বিকল্প নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর সঙ্গে থাকলে এই হালুয়ার প্রভাব আরও দ্রুত দেখা যাবে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হোন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।