কীভাবে Android ও iPhone-এ Earthquake Alert Setup অ্যালার্ট চালু করবেন

অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা (Earthquake Alerts) কীভাবে চালু করবেন—ধাপ-ধাপে সম্পূর্ণ সেটআপ গাইড। স্মার্টফোনে বিনামূল্যের এই ফিচার জীবন

ভূমিকম্প সতর্কতা: স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি কমান

আজকের বিশ্বে স্মার্টফোন কেবলমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি এখন এক ধরনের পকেট সিকিউরিটি গার্ড। বিশেষ করে ভূমিকম্পের মতো হঠাৎ ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড আগের সতর্কতা কখনও কখনও জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন—“কয়েক সেকেন্ডে-ই বা কী হয়?” কিন্তু বাস্তবে, গবেষণায় দেখা গেছে যে মাত্র ৫–১০ সেকেন্ড আগে সতর্কতা পেলে মানুষ নিরাপদ স্থানে সরতে সক্ষম হয়, এলিভেটর বন্ধ হয়, গ্যাস লাইন কেটে দেওয়া যায়, এবং স্কুল-অফিসে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সৌভাগ্যবশত আজকের অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মেই রয়েছে বিল্ট-ইন Earthquake Alert System, যা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।

অনেকেই জানেন না যে তাদের ফোনে এই সুবিধাটি আগে থেকেই থাকে। ফলে এটি চালু না থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা তারা পান না। সেটিংসগুলো আসলে খুবই সহজ, কিন্তু মেনুর নাম বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ভিন্ন হওয়ায় অনেকেই বিভ্রান্ত হন। এই গাইডে খুব সহজ ভাষায়, ধাপে ধাপে বোঝানো হয়েছে—কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন, কেন এই ফিচারটি এত গুরুত্বপূর্ণ, এবং কখন সতর্কতা না এলে কী করবেন। নিজের পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অবশ্যই এই সেটিংসটি সক্রিয় করে রাখুন।

Alert

ভূমিকম্প সতর্কতা কেন অপরিহার্য

হঠাৎ ভূমিকম্পের ঝুঁকি

ভূমিকম্প এমন একটি দুর্যোগ যা পৃথিবীর যে কোনো স্থানে, যে কোনো সময়, কোনোরকম পূর্বাভাস ছাড়াই বিস্ফোরণের মতো আঘাত হানতে পারে। আগুন লাগা, দুর্ঘটনা, বন্যা—এসব সাধারণত আসার আগে কিছুটা ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু ভূমিকম্প আসে নির্দয়ভাবে, এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে। ফলে মানুষ প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পায় না। তাই গবেষকরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের তরঙ্গ শনাক্ত করে আগাম সতর্ক করার চেষ্টা করছেন। স্মার্টফোনের সেন্সর এবং বড় ডাটাবেসগুলো এখন এত উন্নত হয়েছে যে ছোট কম্পন শনাক্ত করেই কয়েক সেকেন্ড আগেই অ্যালার্ট পাঠানো সম্ভব হচ্ছে।

কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যে এই ফিচার অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। বিশেষ করে অফিস ভবন, স্কুল, হাইওয়ে, মেট্রো স্টেশন—এগুলোতে আগাম সতর্কতা দিলে চমৎকারভাবে দুর্ঘটনা কমে। তাই সচেতন মানুষের উচিত নিজের ফোনে এই ফিচারটি সক্রিয় রাখা, কারণ এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা একবার চালু করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।

আগাম কয়েক সেকেন্ড কীভাবে জীবন বাঁচায়

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন—কেবল পাঁচ সেকেন্ড কতটা মূল্যবান হতে পারে? সাধারণ সময়ে হয়তো তেমন কিছুনা, কিন্তু ভূমিকম্পের সময় এই পাঁচ সেকেন্ডই জীবন বাঁচাতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করা গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা আগেই সতর্কতা পেয়েছেন, তারা দ্রুত কাঠামোগত ঝুঁকির বাইরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ধরুন, আপনি একটি বহুতল ভবনে আছেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকি শুরু হওয়ার আগেই যদি আপনার ফোন জোরে বেজে ওঠে এবং বলে—“Earthquake detected nearby!”—তাহলে আপনি দ্রুত টেবল, ডেস্ক বা শক্ত কাঠামোর নিচে আশ্রয় নিতে পারবেন। যারা বাইরে আছেন তারা খোলা স্থানে চলে যেতে পারবেন।

এই কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানেই ছাদ ধসে পড়া, কাঁচ ভেঙে পড়া, সিঁড়ি ভেঙে যাওয়া—এসব থেকে বাঁচা যায়। শুধু মানুষ নয়, শিল্পকারখানা বা হাসপাতালের মতো জায়গাতেও বড় ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়। তাই আগাম ভূমিকম্প সতর্কতা মানে কেবল একটি নোটিফিকেশন নয়; এটি একটি অদৃশ্য ঢাল যা হঠাৎ দুর্যোগের আগে আপনাকে দাঁড়িয়ে থাকার, পালানোর বা নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়।

আরও পড়ুনঃ

সতর্কতা সম্পূর্ণ ফ্রি কেন

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে—এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায় কীভাবে? কারণ এটি ব্যক্তিগত কোনো বাণিজ্যিক সেবা নয়; বরং এটি সরকার, ভূমিকম্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এবং প্রযুক্তি কোম্পানির যৌথ নিরাপত্তা উদ্যোগ। গুগল, অ্যাপল—এরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সিসমিক নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য নিয়ে তা ফোনে পৌঁছে দেয়। আপনার ফোনে যা-ই থাকুক—সিম কার্ড, ব্র্যান্ড বা নেটওয়ার্ক—এই সতর্কতা পাঠাতে কোনো চার্জ লাগে না।

অনেক দেশে এই অ্যালার্টগুলো সরকারিভাবে “Public Safety System” হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এগুলোর ওপর কোনো বিজ্ঞাপন বা মুনাফাভিত্তিক কার্যক্রম নেই। আপনি শুধু ফোনে সেটিংস চালু করবেন, তারপর বাকি সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। ফ্রি হলেও এই সিস্টেম অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং বহুল ব্যবহৃত। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর পেছনে এর অবদান রয়েছে। তাই কোন খরচ ছাড়াই এমন একটি জরুরি সেবা পাওয়া আমাদের সৌভাগ্য বললেই চলে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালুর নির্দেশিকা

  1. ফোনের Settings এ যান। আপনার ফোনের Settings ওপেন করুন।
  2. “Safety & Emergency” বা “Location Services” নির্বাচন করুন। ফোনভেদে মেনুর নাম ভিন্ন হতে পারে। অনেক ফোনে এটি Security & Emergency নামেও থাকে।
  3. “Earthquake Alerts” অপশনটি খুঁজুন। এখানে Earthquake Alerts বা Emergency Alerts নামে একটি অপশন থাকবে। এতে প্রবেশ করুন।
  4. Earthquake Alerts চালু করুন। “Allow Earthquake Alerts” অপশনটি ON করে দিন। চাইলে “Wireless Emergency Alerts (WEA)”–ও চালু রাখতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েডের ভূমিকম্প অ্যালার্ট সিস্টেম কী

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো গুগলের নিজস্ব Earthquake Alert System। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম সিসমিক নেটওয়ার্কগুলোর তথ্য ব্যবহার করে, এমনকি আপনার ফোনে থাকা accelerometer সেন্সরের সাহায্যেও ছোট কম্পন শনাক্ত করতে পারে। গুগল সার্ভার সেগুলো বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করে ভূমিকম্প হয়েছে কিনা এবং কোথায় কোথায় সতর্কতা পাঠাতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন সারা পৃথিবীজুড়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলে, যেন প্রত্যেক ব্যবহারকারীর ডিভাইস একটি “mini earthquake detector”-এর কাজ করে। এত বিশাল নেটওয়ার্ক থাকার কারণে অ্যালার্ট পাঠাতে সময় লাগে খুব অল্প—সাধারণত এক সেকেন্ডেরও কম।

ব্যবহারকারী হিসেবে আপনাকে বেশি কিছু করতে হয় না। ফোনের ভিতরেই এই সিস্টেমটি থাকে। শুধু সেটিংসে গিয়ে সক্রিয় করতে হবে। সক্রিয় করলে ফোন কম্পন শনাক্ত করে সরাসরি জরুরি অ্যালার্ট দিতে পারে। ব্যবহারকারীরা এই অ্যালার্টের সঙ্গে নিম্ন-মাত্রার সুর, ভাইব্রেশন এবং স্ক্রিনে বড় সতর্ক বার্তা দেখতে পান। ফলে ঘুমের মধ্যেও বা ব্যস্ত অবস্থাতেও মিস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

ধাপ–১: Settings এ প্রবেশ

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যেকোনো পরিবর্তন শুরু হয় Settings মেনু থেকে। তাই প্রথম ধাপ হলো ফোনটি আনলক করে Settings আইকনে ট্যাপ করা। বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন স্যামসাং, শাওমি, রিয়েলমি, ভিভো, পিক্সেল—তাদের UI কিছুটা আলাদা হলেও Settings-এর অবস্থান একই থাকে। বেশিরভাগ ফোনেই এটি একটি গিয়ার আইকন আকারে দেখা যায়। যদি খুঁজে না পান, তাহলে নোটিফিকেশন প্যানেল টেনে নিচে নামিয়ে গিয়ার আইকনে চাপ দিলেও Settings খুলে যায়।

অনেক সময় মানুষ এই ধাপেই বিভ্রান্ত হন কারণ কিছু কোম্পানি সেটিংস মেনুতে সিকিউরিটি বা লোকেশন সংক্রান্ত ফিচারগুলো ভিন্ন শ্রেণিতে রাখে। তবে চিন্তার কিছু নেই—ধাপে ধাপে নির্দেশনা অনুসরণ করলে আপনি সহজেই সঠিক অপশন খুঁজে পাবেন।

ধাপ–২: Safety & Emergency / Location Services খুঁজে পাওয়া

এখন Settings-এর ভিতরে ঢোকার পর আপনাকে যে অপশনটি খুঁজতে হবে তা হলো “Safety & Emergency,” “Security & Emergency,” বা “Location Services।” আপনার ফোনের ব্র্যান্ড অনুযায়ী নাম ভিন্ন হতে পারে। স্যামসাং ফোনে সাধারণত এটি “Safety and Emergency” নামে থাকে। আবার গুগল পিক্সেলে এটি “Location Services” সেকশনের ভিতরে থাকে। কিছু ফোনে “Passwords & Security” এর মধ্যেও Emergency Alerts লুকিয়ে থাকে।

যদি খুঁজে না পান, তাহলে Settings-এর সার্চ বারে “Earthquake,” “Alert,” “Emergency,” বা “Location” লিখে সার্চ করলেও অপশনটি দ্রুত পেয়ে যাবেন। কারণ অ্যান্ড্রয়েডে সার্চ ফিচার খুব কার্যকর এবং সংশ্লিষ্ট সকল অপশন দেখায়। এই সেকশনেই জরুরি অবস্থার অন্যান্য টুল যেমন SOS, medical information, emergency contacts ইত্যাদিও থাকে।

ধাপ–৩: Earthquake Alerts অপশন খুঁজে বের করা

এখন আপনি যখন Safety & Emergency বা Location Services সেকশনে প্রবেশ করেছেন, সেখানে স্ক্রল করে দেখুন “Earthquake Alerts,” “Natural Disaster Alerts,” বা “Emergency Alerts” নামে কোনো অপশন আছে কি না। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই এটি স্পষ্টভাবে “Earthquake Alerts” নামে দেখানো হয়। তবে কিছু ফোনে এটি “Wireless Emergency Alerts (WEA)” এর অধীনে থাকে। তাই যদি আলাদা করে Earthquake Alerts না দেখেন, তাহলে WEA-র ভিতরে খুঁজুন।

অনেক ব্যবহারকারী এখানে এসে বিভ্রান্ত হন কেননা বিভিন্ন ফোন নির্মাতা (বিশেষ করে চায়নিজ ব্র্যান্ডগুলো) এই সেটিংসকে ভিন্ন অবস্থানে রাখে। উদাহরণস্বরূপ, Xiaomi ফোনে এটি সাধারণত “Location” → “Earthquake Alerts”-এর নিচে পাওয়া যায়, আবার Samsung ফোনে “Safety and Emergency” → “Wireless Emergency Alerts” এর মধ্যে থাকে।

সবচেয়ে সহজ উপায় হলো Settings সার্চ বারে “Earthquake” লেখা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ডেই ফলাফল দেখা যায়। সঠিক অপশনটি পেয়ে গেলে তাতে প্রবেশ করুন। এখানে আপনি দেখতে পাবেন ফিচারটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যেমন “Receive alerts when an earthquake is detected near you using your phone’s sensors and regional data.” এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

ধাপ–৪: ভূমিকম্প সতর্কতা এবং WEA সক্রিয় করা

অবশেষে আপনি যখন Earthquake Alerts পেজে পৌঁছে গেছেন, তখন ফিচারটি সক্রিয় করতে “Allow Earthquake Alerts” বা “Enable Alerts” সুইচটি ON করে দিন। এই অপশনটি চালু করা মাত্রই আপনার ফোন এখন ভূমিকম্প হলে তা শনাক্ত করে আপনাকে সতর্ক করবে।

শুধু Earthquake Alerts নয়, “Wireless Emergency Alerts (WEA)”—এই অপশনটিও চালু রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ WEA-র মাধ্যমে আপনি কেবল ভূমিকম্প নয়, ঝড়, বন্যা, সুনামি, চরম আবহাওয়া, বা কোনো সরকারি জরুরি বার্তাও পাবেন।

অ্যালার্ট চালু করার পর আপনার ফোন প্রয়োজনীয় অবস্থায় জোরে সাউন্ড, ভাইব্রেশন এবং পূর্ণ-স্ক্রিন সতর্ক বার্তা দিয়ে আপনাকে জানাবে। এগুলো সাধারণ নোটিফিকেশনের মতো ছোট করে আসে না; বরং বড় অক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখায়, যেন কেউই এটি মিস না করে।

একবার চালু করলে আপনাকে আর আলাদা করে কিছু করতে হবে না। আপনি চাইলে পরে যেকোনো সময় এটি বন্ধ করতে পারেন, তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এটি সবসময় চালু রাখাই সেরা সিদ্ধান্ত।

আইফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা সক্রিয় করার পূর্ণ গাইড

  1. Settings এ যান। আইফোনের Settings অ্যাপ ওপেন করুন।
  2. Notifications এ যান। স্ক্রল করে Notifications অপশনে ক্লিক করুন।
  3. নিচে স্ক্রল করে “Government Alerts” খুঁজুন। এখানে আপনি দেখতে পাবেন:
    • Emergency Alerts
    • Public Safety Alerts
    • Severe Alerts (কিছু দেশে)
  4. Emergency Alerts ON করে দিন। “Emergency Alerts” এবং “Public Safety Alerts” উভয়টি চালু রাখলে ভূমিকম্প সহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে সতর্ক বার্তা পাবেন।

iPhone এর Government & Emergency Alerts কী

iPhone-এ সরাসরি “Earthquake Alerts” নামে কোনো আলাদা অপশন নেই, কারণ অ্যাপল একটি統 একীভূত Government Alert System ব্যবহার করে। এই সিস্টেমের মধ্যে Emergency Alerts, Public Safety Alerts এবং কখনও Severe Alerts অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন দেশের সরকারি সতর্কতা, ভূমিকম্প সনাক্তকারী সংস্থা, এবং সিসমিক নেটওয়ার্কের তথ্য সরাসরি অ্যাপলের সার্ভারে যায়, সেখান থেকে আপনার ফোনে দ্রুত একটি শক্তিশালী নোটিফিকেশন আসে।

এই ফিচারের বিশেষত্ব হলো—এর অ্যালার্টগুলো বাইপাস মোডে কাজ করে। অর্থাৎ আপনার ফোন সাইলেন্ট, ভাইব্রেশন বা Do Not Disturb-এ থাকলেও জরুরি সতর্কতাটি বাজবে। অ্যাপল নিশ্চিত করে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দুর্যোগ সতর্কতা যেন কেউ মিস না করে।

এই সিস্টেমটি প্রায় সব দেশে কাজ করে, তবে কোন কোন দেশে উপলব্ধ তা স্থানীয় সরকারের নীতির ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই এই সুবিধা রয়েছে। মূলত, iPhone ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি “built-in survival tool”—যা চালু রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ধাপ–১: Settings এ প্রবেশ

iPhone-এ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন শুরু হয় Settings অ্যাপ থেকেই। তাই প্রথমে আপনার ফোন আনলক করে গ্রে রঙের গিয়ার আইকনে ট্যাপ করুন। iOS-এ এই অ্যাপটি কখনো লুকানো থাকে না, তাই খুঁজে পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদি আপনি বেশি অ্যাপ ইনস্টল করে ফেলেন এবং হোম স্ক্রিনে খুঁজে না পান, তাহলে নিচে সোয়াইপ করে Spotlight সার্চ খুলে “Settings” লিখলেই এটি দেখা যাবে।

Settings খুললেই iOS–এর পরিচিত পরিষ্কার ইন্টারফেস চোখে পড়বে। এখান থেকেই নোটিফিকেশন, সাউন্ড, SOS, লোকেশন— সব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা এখন Notifications মেনুর দিকে এগোবো, কারণ ভূমিকম্প অ্যালার্ট সেখানেই লুকিয়ে থাকে।

ধাপ–২: Notifications মেনু ব্যবহার

Settings খুললে সামান্য স্ক্রল করলেই “Notifications” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এই মেনুতে ট্যাপ করলেই আপনি আপনার ফোনের সকল নোটিফিকেশন কন্ট্রোল দেখতে পাবেন—কোন অ্যাপ কত ধরনের নোটিফিকেশন দিতে পারবে, কোথায় দেখাবে, কীভাবে সাউন্ড করবে ইত্যাদি।

কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো Notifications স্ক্রল করে নিচের দিকে যাওয়া, যেখানে Government Alerts সেকশনটি থাকে। অনেক ব্যবহারকারী ভুলবশত ভেবে বসেন যে এটি উপরে কোথাও থাকবে, তাই খুঁজে পান না। কিন্তু না—Government Alerts সবসময় নিচের দিকেই থাকে, কারণ এটি সিস্টেম-লেভেল ফিচার, অ্যাপ-লেভেল নয়।

এখানে প্রবেশ করলেই আপনি iPhone–এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সতর্কতা ফিচারগুলো দেখতে পাবেন।

ধাপ–৩: Government Alerts সেকশন খুঁজে বের করা

এখন Notifications মেনুর একদম নিচে স্ক্রল করলে আপনি দেখতে পাবেন “Government Alerts” নামে একটি আলাদা সেকশন। এই অংশটিই iPhone–এর জরুরি সতর্কতার কেন্দ্র বলা যায়। এখানে সাধারণত দুটি থেকে তিনটি অপশন থাকে—“Emergency Alerts”, “Public Safety Alerts” এবং কিছু দেশে “Severe Alerts।”

এই অপশনগুলো সবই সরকারি বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার অনুমোদিত জরুরি বার্তাগুলো আপনার ফোনে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ভূমিকম্প, সুনামি, সাইক্লোন, বন্যা, রাসায়নিক দুর্ঘটনা, শিশু অপহরণ (AMBER Alert) বা যে কোনো জাতীয় বিপর্যয়ের সতর্কতা এগুলোর মাধ্যমেই পৌঁছায়।

যদি আপনার দেশে ভূমিকম্প সিস্টেম সক্রিয় থাকে, তাহলে Emergency Alerts চালু করা মাত্রই আপনি ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগেই নোটিফিকেশন পাবেন। সব iPhone মডেলেই Government Alerts সেকশন থাকে—iPhone 6 থেকে শুরু করে iPhone 15 সিরিজ—সবকটিতেই এই ফিচার সমর্থিত।

যদি কোনো কারণে Government Alerts সেকশন দেখতে না পান, তাহলে সম্ভবত আপনার ফোন এমন দেশে সেট করা যেখানে এই সুবিধা সরকারি ভাবে চালু নেই। আবার VPN ব্যবহার করলে অঞ্চল পরিবর্তনের কারণে এটি অদৃশ্যও হয়ে যেতে পারে। তাহলে Region সেটিংস পরিবর্তন করে আবার চেষ্টা করুন।

ধাপ–৪: Emergency ও Public Safety Alerts চালু করা

Government Alerts সেকশনটি খুঁজে পাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো দুটি সুইচ চালু করা:
Emergency Alerts
Public Safety Alerts

Emergency Alerts চালু থাকলে ভূমিকম্প, সাইক্লোন, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড বা বড় ধরনের কোনো সরকারি সতর্কতা সরাসরি আপনার ফোনে আসবে। অন্যদিকে Public Safety Alerts সাধারণ নিরাপত্তা ঝুঁকি, যেমন রাসায়নিক লিক, ভবন ধস, বড় দুর্ঘটনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে।

অ্যালার্ট পাওয়ার ধরণও আলাদা—এটি সাধারণ নোটিফিকেশনের মতো ছোট করে আসে না। বরং স্ক্রিন জ্বলে ওঠে, জোরে শব্দ বাজে এবং ভাইব্রেশন হয়, যেন ঘুমের মধ্যেও আপনি এটি মিস করতে না পারেন। আপনি সাইলেন্ট মোডে রাখলেও এসব অ্যালার্ট বাজবে, কারণ এটি “override silent mode” নীতিতে কাজ করে।

সবকিছু ঠিকমতো চালু হলে আপনার iPhone এখন যেকোনো দুর্যোগের আগে আপনাকে সতর্ক করতে প্রস্তুত। ফিচারটি চালু আছে কিনা পরীক্ষা করতে চাইলে ফোনটি রিস্টার্ট করেও পরীক্ষা করতে পারেন—সেটিংস একই থাকবে।

ফোনে অ্যালার্ট না এলে করণীয়

Location/GPS সমস্যা

ফোনে ভূমিকম্প অ্যালার্ট না আসার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো Location বা GPS বন্ধ থাকা। কারণ সতর্কতা সিস্টেম আপনার অবস্থান জানতে না পারলে সঠিক এলাকায় অ্যালার্ট পাঠাতে পারে না। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম এমনকি ফোনের accelerometer দিয়ে কম্পন শনাক্ত করলেও অবস্থান না জানলে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় না।

তাই আপনার ফোনে Location সবসময় চালু রাখুন। বিশেষ করে High Accuracy মোড ব্যবহার করলে সতর্কতা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আপনি চাইলে ব্যাটারি বাঁচানোর জন্য পরিস্থিতিভেদে Location অফ করতে পারেন, তবে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করলে এটি সবসময় চালু রাখাই ভালো।

Software Update চেক

পুরোনো সফটওয়্যার অনেক সময় দেরিতে কাজ করে বা অ্যালার্ট গ্রহণের সিস্টেমে সমস্যা তৈরি করে। অ্যান্ড্রয়েড ও iPhone—দুটিতেই সর্বশেষ আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন আপডেটে সাধারণত নিরাপত্তা প্যাচ, নোটিফিকেশন ফিক্স এবং সিস্টেম উন্নয়ন করা থাকে, যা অ্যালার্ট পাওয়ার গতিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই Settings → Software Update এ গিয়ে চেক করুন অ্যাপডেট আছে কি না।

DND মোডের প্রভাব

অনেকে মনে করেন DND বা Do Not Disturb মোড চালু থাকলে অ্যালার্ট আসবে না। iPhone–এ সাধারণত জরুরি অ্যালার্ট DND বাইপাস করে, কিন্তু কিছু দেশে বা কিছু ক্যারিয়ারে এটি কাজ নাও করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েডে অনেক ফোনে DND–র মধ্যে Emergency Alerts bypass করার আলাদা অপশন থাকে। তাই DND চালু থাকলে সতর্কতা কোথাও আটকে যাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করুন।

Emergency Alerts ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা

অনেক ব্যবহারকারী না জেনেই Emergency Alerts বন্ধ করে ফেলেন। কেউ কেউ মনে করেন এটি বিরক্তিকর, তাই সুইচ অফ করেন। কিন্তু এতে আপনি ভূমিকম্পের মতো জীবনরক্ষাকারী বার্তাও পাবেন না। তাই অ্যান্ড্রয়েডে Settings → Emergency Alerts এবং iPhone–এ Settings → Notifications → Government Alerts এ গিয়ে নিশ্চিত করুন সব কিছু ON আছে।

নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান

WEA বা সরকারি সতর্কতার বেশিরভাগই নেটওয়ার্ক ছাড়া কাজ করলেও কিছু দেশে ইন্টারনেট দরকার হয়। তাই নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকলে ফোন অ্যালার্ট পেতে দেরি করতে পারে। আপনার ফোনে সঠিকভাবে সিগন্যাল আসছে কি না দেখুন।

যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়, তাহলে এক

ভূমিকম্প সতর্কতা প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে

ফোনের সেন্সর ভূমিকা

আপনার স্মার্টফোনে রয়েছে একটি শক্তিশালী সেন্সর — accelerometer। দিন-রাত এটি নড়াচড়া শনাক্ত করে রাখে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে প্রচুর সংখ্যক স্মার্টফোন একই সময়ে একই ধরনের ক্ষুদ্র কম্পন শনাক্ত করলে তা ভূমিকম্পের প্রাথমিক কম্পন (P-wave) নির্দেশ করতে পারে। গুগল এই সেন্সরগুলোর ডাটা রিয়েল-টাইমে বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুত শনাক্ত করতে পারে ভূমিকম্পের সূচনা হয়েছে কি না।

যখন অনেক ফোন একই মুহূর্তে একই ধরনের কম্পন রেজিস্টার করে, তখন সিস্টেম ধরে নেয় এটি কোনো বাস্তব সিসমিক অ্যাক্টিভিটি। এরপর সার্ভার কাছাকাছি অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের আগেই সতর্ক করে দেয়, যাতে তারা শক্তিশালী কম্পন (S-wave) আসার আগে নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।

সার্ভার ও সিসমিক ডেটা বিশ্লেষণ

একটি বৃহৎ ভূমিকম্প সতর্কতা সিস্টেম কেবল ফোনের সেন্সরের ওপর নির্ভর করে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক (Seismographic stations) রয়েছে। তারা পৃথিবীর গভীরে থাকা সিসমিক কার্যকলাপ নজর রাখে। এই তথ্য অ্যাপল বা গুগল সার্ভারে পৌঁছায় সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যেই।

এই সার্ভারগুলো উন্নত AI ও অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে—এটি কি বাস্তব ভূমিকম্প? শক্তি কত? কেন্দ্র কোথায়? ক্ষতির পরিধি কত দূর হতে পারে? যখন সিস্টেম নিশ্চিত হয় যে সতর্কতা দেওয়া উচিত, তখন এটি ফোনে জরুরি ভিত্তিতে নোটিফিকেশন পাঠায়।

নোটিফিকেশন ডেলিভারি প্রক্রিয়া

অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয়েই জরুরি সতর্কতার জন্য আলাদা “high-priority broadcast channel” ব্যবহার করে। তাই এটি সাধারণ নোটিফিকেশন বা মেসেজের মতো কিউ-তে আটকে থাকে না। বরং:
✔ ফোন সাইলেন্ট থাকলেও বাজবে
✔ লকস্ক্রিনের ওপরে আলাদা অ্যালার্ট উইন্ডো দেখাবে
✔ ভাইব্রেশন ও সাউন্ড বেশি জোরে হবে
✔ ডু-নট-ডিস্টার্ব মোডও বাইপাস করবে

এভাবে নিশ্চিত করা হয় যে কেউই সতর্কতা মিস না করে।

সতর্কতা পাওয়ার পরে করণীয়

দ্রুত নিরাপদ স্থানে যাওয়া

সতর্কতা পাওয়া মাত্রই ভাবার সময় নেই। ভূমিকম্পের শক্তিশালী কম্পন সাধারণত কয়েক সেকেন্ড পর আসে। তাই সঙ্গে সঙ্গে যা করতে হবে:
✔ জানালার কাঁচ থেকে দূরে যেতে হবে
✔ টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত জায়গার নিচে আশ্রয় নিতে হবে
✔ দরজার ফ্রেমে দাঁড়াবেন না (এটি পুরোনো ভুল ধারণা)
✔ যদি বাইরে থাকেন, খোলা জায়গায় সরে যান

পরিবারের সাথে সমন্বয়

বাড়িতে পরিবারের সবাই থাকলে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ছোটরা থাকলে তাড়াতাড়ি আশ্রয়স্থলে নিয়ে যান। যারা বয়স্ক, তাদের সাহায্য করুন নিচু হয়ে বসতে এবং মাথা রক্ষা করতে।

পরিবারের সবাই কোথায় নিরাপদে দাঁড়াবে বা লুকাবে—এ নিয়ে আগেই একটি পরিকল্পনা করা ভালো। ভূমিকম্প সতর্কতা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার সময় দেয়।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

যদি আপনি অফিসে বা উঁচু ভবনে থাকেন, তাহলে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা যেমন লিফট, বড় গ্লাসওয়াল, ঝুলন্ত লাইট, বুকশেলফ ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

ভূমিকম্পের সময় আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ে কারণ গ্যাস লাইন বা বৈদ্যুতিক সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা পাওয়ার পরে তাড়াহুড়ো না করে, বরং মাথা নিচু করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন এবং কম্পন থামার পর বাইরে যান।

উপসংহার

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনোই পূর্বঘোষণা দিয়ে আসে না, কিন্তু প্রযুক্তি আমাদেরকে একটি শক্তিশালী সুযোগ দিয়েছে—আগেই প্রস্তুত হওয়ার। স্মার্টফোনে বিল্ট-ইন ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করা খুবই সহজ, কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম। কয়েক সেকেন্ড আগের নোটিফিকেশন কখনো কখনো পুরো পরিবারকে বাঁচিয়ে দিতে পারে, বড় ক্ষতি কমিয়ে দিতে পারে এবং আতঙ্ক কাটিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সাহায্য করে।

আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করুন বা আইফোন—ফারাক নেই। উভয় ফোনেই এই শক্তিশালী নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত রয়েছে। শুধু সেটিংস চালু করে রাখুন এবং নিশ্চিত করুন আপনার ফোন সবসময় প্রস্তুত।

সচেতন থাকা সবসময় বুদ্ধিমানের কাজ। আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি কমানো হয় আরও স্মার্ট কাজ। তাই আজই আপনার ফোনে সতর্কতা চালু করে নিন এবং পরিবারকেও এটি করতে বলুন।

FAQs

1. অ্যান্ড্রয়েডে ভূমিকম্প সতর্কতা কীভাবে কাজ করে?
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেন্সর ও গুগলের সিসমিক নেটওয়ার্ক একসঙ্গে কম্পন শনাক্ত করে এবং দ্রুত নোটিফিকেশন পাঠায়।

2. iPhone কি সব দেশে ভূমিকম্প সতর্কতা দেয়?
হ্যাঁ, যেখানে Government Alerts সিস্টেম সক্রিয় আছে—সেসব দেশে iPhone জরুরি ভূমিকম্প বার্তা পাঠায়।

3. নেটওয়ার্ক না থাকলে কি অ্যালার্ট আসে?
অনেক দেশে Wireless Emergency Alerts নেটওয়ার্ক ছাড়াও কাজ করে, কিন্তু কিছু দেশে ইন্টারনেট প্রয়োজন হতে পারে।

4. WEA কী?
WEA (Wireless Emergency Alerts) হলো সরকার অনুমোদিত দুর্যোগ সতর্কতা সিস্টেম যা ফোনে জরুরি বার্তা পাঠায়।

5. ফোনের সেন্সর কি সত্যিই ভূমিকম্প শনাক্ত করতে পারে?
হ্যাঁ, ফোনের accelerometer ছোট কম্পন শনাক্ত করতে পারে এবং বৃহৎ নেটওয়ার্ক সিস্টেম তা বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের সতর্কতা পাঠায়।

About the author

Leo
Hey! I'm Leo. I'm always eager to learn new things and enjoy sharing my knowledge with others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.