মোবাইলে সেফ মোড চালু করার নিয়ম ২০২৫ | How to Turn on Safe Mode in Mobile

খুব সহজে জানুন কিভাবে মোবাইলে সেফ মোড চালু করবেন, কোন ফোনে কোন পদ্ধতি কাজ করে, ও সমস্যা চিহ্নিত করবেন ২০২৫ সালের সর্বশেষ আপডেটসহ।safe mode android,

কখনও কি এমন হয়েছে যে আপনার ফোন হঠাৎ স্লো হয়ে যাচ্ছে, অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা অজানা কারণে বারবার রিস্টার্ট নিচ্ছে? 😟 চিন্তার কিছু নেই — এই ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর একটি হলো Safe Mode। এটি এমন একটি বিশেষ মোড যেখানে আপনার ফোন শুধুমাত্র সিস্টেমের প্রয়োজনীয় অ্যাপ ও সার্ভিস দিয়ে চালু হয়, আর সমস্ত থার্ড-পার্টি অ্যাপ সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকে।

সহজ ভাষায় বললে, Safe Mode হলো আপনার মোবাইলের জন্য একটি “Test Environment” বা পরীক্ষামূলক পরিবেশ। এখানে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন সমস্যাটা অ্যাপের কারণে হচ্ছে নাকি সিস্টেমের ভিতরে কোনো ত্রুটি আছে। এই গাইডে আমরা দেখাবো — কীভাবে আপনি আপনার যেকোনো Android মোবাইলে (Samsung, Xiaomi, Realme, Vivo, Infinix ইত্যাদি) Safe Mode অন করতে পারেন, কীভাবে Safe Mode থেকে বের হবেন, এবং কবে এটি ব্যবহার করা উচিত।

আপনি যদি নতুন হন বা আগে কখনও Safe Mode ব্যবহার না করে থাকেন, তবুও চিন্তা নেই! এই ধাপে ধাপে লেখা আর্টিকেলটি আপনাকে পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে শেখাবে যেন আপনি নিজেই আপনার ফোনের “Doctor” হয়ে যান। 🔧📱

সেফ মোড কী এবং কেন দরকার

সেফ মোড হলো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের একটি ডায়াগনস্টিক বুট মোড যেখানে ফোন কেবল অপারেটিং সিস্টেমের মূল বা ডিফল্ট অ্যাপগুলো চালায় — তৃতীয়-পক্ষের (third-party) অ্যাপগুলো কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকে। কালের বিবর্তনে অনেক সময় আমরা এমন সমস্যার মুখোমুখি হই: ফোন হঠাৎ ধীর হয়ে যায়, ক্র্যাশ করে, বারবার রিস্টার্ট নেয় বা ব্যাটারি অতিরিক্ত খরচ করে। এসব সমস্যার উৎস যদি সফটওয়্যার-ভিত্তিক হয়, বিশেষত কোনো ইনস্টল করা অ্যাপের কারণে, তাহলে সেফ মোড দ্রুত সমস্যার কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করে।

সহজ কথায়, সেফ মোড হলো আপনার মোবাইলের “ডাক্তারের পরীক্ষা” — যেখানে আপনি দেখতে পারেন ফোনে থাকা কোন অপ্রয়োজনীয় বা তৃতীয়-পক্ষের অ্যাপই সমস্যার কারণ কি না, এবং হার্ডওয়্যার সমস্যা কি না সেটা আলাদা করতে পারেন। এতে ডেটা মুছতে বা ফ্যাক্টরি রিসেট দিতে হওয়ার আগেই আপনি সমস্যার উৎস নির্ণয় করতে পারবেন।

Safe-mode

সেফ মোড কীভাবে কাজ করে

সিস্টেমকে ন্যূনতম পরিবেশে চালানোর ধারণাটি সেফ মোডের মূল। বুটিং সময় ডিভাইস কেবলমাত্র সেই সার্ভিসগুলো লোড করে যেগুলো ফোনের অপারেশনের জন্য অপরিহার্য — ফোন, মেসেজ, সেটিংস ইত্যাদি। থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলো লোড হয় না, ফলে যদি ফোন স্বাভাবিক কাজ করে সেফ মোডে, তবে বোঝা যায় যে সমস্যা কোনো ইনস্টল করা অ্যাপ বা সেটিংসের কারণে ঘটছে।

পুনরায় বললে — এটি একটি বিচ্ছিন্ন পরিবেশ যেখানে ডিসঅ্যাক্টিভেট করা অ্যাপগুলো কার্যত “অদৃশ্য” হয়ে যায়। ফলে আপনি ক্র্যাশ রিপোর্ট, ব্যাটারি ড্রেন, স্লো পারফরম্যান্স ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারবেন সহজে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সাধারণ পদ্ধতি

বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই সেফ মোড চালু করার কয়েকটি সাধারণ উপায় আছে। কিছু ফোনে এক পদ্ধতি কাজ করবে, অন্যগুলিতে আরেকটি। নিচের তিন পদ্ধতি খুবই প্রচলিত ও নিরাপদ:

  1. পাওয়ার মেনু (Power menu) থেকে: পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রেখে Power Off-এ লম্বা প্রেস করলে Safe Mode অপশন দেখা যায়।
  2. কীবোর্ড/বাটন কম্বিনেশন: ফোন বন্ধ করে Power + Volume Down একসাথে ধরে রাখলে কিছু ডিভাইসে Safe Mode বুট হয়।
  3. সিস্টেম সেটিংস/ডেভেলপার অপশন: কিছু কাস্টম UI-তে Safe Boot অপশন আছেন, যা থেকে রিস্টার্ট করে সেফ মোডে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ

পাওয়ার বাটন দিয়ে সেফ মোড চালু করার ধাপ

এই পদ্ধতিটা সাধারণত সবচেয়ে সহজ এবং অধিকাংশ ফোনে কাজ করে। ধাপে ধাপে করুণ:

  1. পাওয়ার বাটন চেপে ধরুন — ফোনের পাওয়ার বাটন চাপা রাখুন যতক্ষণ না পাওয়ার মেনু আসে।
  2. Power Off বা Restart অপশনে দীর্ঘ প্রেস — স্ক্রিনে Power Off বা Restart দেখা দিলে এটাতে আঙুল ধরে রাখুন। কয়েক সেকেন্ড পর Safe Mode-popup বা “Reboot to safe mode” অপশন আসলে OK দিন।
  3. রিস্টার্ট এবং যাচাই — ফোন রিস্টার্ট হবে; স্ক্রিনের নিচের ডান বা বাম কোণে সাধারণত “Safe mode” লেখা দেখা যাবে। এখন পরীক্ষা করুন সমস্যা রয়ে গেছে কি না।

এই পদ্ধতিতে টাচ কাজ না করলেও পাওয়ার মেনু দেখা গেলে ব্যবহার করা যায়। তবে কিছু অটোরিটি কাস্টম রম/কাস্টম UI তে এই অপশন নেই — তখন বিকল্প পদ্ধতি দরকার হবে।

সেটিংস ও ডেভেলপার অপশনের মাধ্যমে

কিছু কাস্টমাইজড অ্যান্ড্রয়েড ইন্টারফেসে (যেমন কিছু কোম্পানির কাস্টম UI) সেটিংস থেকে সরাসরি Safe Boot/ Safe Mode চালু করার অপশন থাকে। এটি সাধারণত ডেভেলপার অপশন বা সিস্টেম অপশনগুলোর মধ্যে থাকে। পদ্ধতিটি সাধারণত নিম্নরূপ:

  1. Settings → System → Advanced এ যান (ফোন অনুযায়ী লেবেল ndry হতে পারে)।
  2. Developer Options/Recovery বা অনুরূপ অপশন দেখুন — সেখানে Safe Mode বা Safe Boot টগল থাকলে সেটি ব্যবহার করুন।
  3. এবং রিস্টার্ট করুন — অপশন চালু করলে ফোন রিস্টার্ট হয়ে সেফ মোডে যাবে।

মনে রাখবেন, ডেভেলপার অপশন অন করার জন্য Settings → About phone → Build number-এ ৭ বার ট্যাপ করতে হতে পারে। কিন্তু সমস্ত ফোনে এই রুটই কাজ করে না — তাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হল পাওয়ার বাটন পদ্ধতি।

কীবোর্ড কম্বিনেশন / হার্ডওয়্যার বাটন পদ্ধতি

যদি স্ক্রিন কাজ না করে বা টাচ বন্ধ থাকে তাহলে হার্ডওয়্যার বাটন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ভিন্ন কম্বিনেশন আছে, তবে সবচেয়ে সাধারণ হলো:

  1. ফোন সম্পূর্ণ বন্ধ করুন — পাওয়ার বাটন চেপে ফোন বন্ধ করুন।
  2. Power + Volume Down একসাথে চেপে ধরে রাখুন যতক্ষণ না ফোন বুট শুরু করে।
  3. লগো পরে Safe Mode লেখা দেখা গেলে বাটন ছেড়ে দিন — ফোন সেফ মোডে বুট হবে।

কিছু ডিভাইসের ক্ষেত্রে Power + Volume Up অথবা Power + Volume Up + Volume Down একই সঙ্গে চাপতে হয়। এমনকি কিছু মডেলে ভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে—তাই ব্র্যান্ড-নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী কাজে লাগানো উত্তম।

ব্র্যান্ড অনুযায়ী আলাদা পদ্ধতি

স্যামসাং ফোনে সেফ মোড চালু করার পদ্ধতি

স্যামসাং ডিভাইসে সাধারণত পাওয়ার মেনু ব্যবহার করেই Safe Mode এ যাওয়া যায়:

  1. Power বাটন চেপে ধরে রাখুন—Power Off অপশন আসলে তা ট্যাপ করুন।
  2. Power Off-এ দীর্ঘ প্রেস — “Safe mode” প্রম্পট দেখালে OK দিন।
  3. রিস্টার্ট করে যাচাই করুন — নিচে “Safe mode” লেখা দেখা যাবে।

যদি সেটিংস থেকে না করা যায় তবে ফোন বন্ধ করে Power + Volume Down চেপে ধরে বুট করলেও Safe Mode আসে।

শাওমি / রেডমি ফোনে সেফ মোড

শাওমি ও রেডমি ডিভাইসে MIUI থাকার কারণে কোলকোপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই রকম; পাওয়ার মেনু পদ্ধতি কাজ করে।

  1. Power বাটন চেপে ধরুন → Power Off → Long press → Safe mode দেখলে OK দিন।
  2. কোনো কারণে কাজ না করলে — ফোন বন্ধ করে Power + Volume Down চাপুন।

ওপ্পো ও রিয়েলমি ফোনে

ColorOS বা Realme UI এও সাধারণত পাওয়ার মেনু পদ্ধতি এবং হার্ডওয়্যার বাটন পদ্ধতি কার্যকর। কিছু ক্ষেত্রে ডিভাইস-সোফ্টওয়্যার ভিন্নতা থাকলে ব্যতিক্রম দেখা যেতে পারে।

ভিভো ফোনে সেফ মোড

Vivo-তেও পাওয়ার মেনু পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয়: Power বাটন ধরে Power Off-এ ঢুকে Safe Mode অপশন ব্যবহার করুন।

ইনফিনিক্স ও টেকনো ফোনে

এই ব্র্যান্ডগুলিতেও উপরের দুই পদ্ধতি প্রায়ই কাজ করে — Power menu long-press অথবা Power + Volume Down। যদি ডিভাইস খুব পুরানো হয় বা কাস্টম রম থাকে, তাহলে ম্যানুয়াল চেক করা দরকার।

সেফ মোড অন হলে কিভাবে বুঝবেন

সেফ মোডে ঢুকলে সাধারণ লক্ষণগুলো হল:

  1. স্ক্রিনের নিচে “Safe mode” লেখা দেখা যায় — প্রায় সব ডিভাইসে স্পষ্টভাবে টেক্সট দেখা যায়।
  2. থার্ড-পার্টি অ্যাপ আইকনগুলো ধূসর বা নন-একটিভ দেখায় — অনেক ক্ষেত্রে অ্যাপগুলো থাকলেও চালু হয় না।
  3. কিছু কাস্টম ওয়ালপেপ বা থিম লেগ-অফ হতে পারে — কারণ কেবল সিস্টেম রিসোর্সই লোড হচ্ছে।

এই সব লক্ষণ দেখে আপনি নিশ্চিত হবেন যে ফোন সেফ মোডে আছে। এরপর যে কোনো অ্যাপ আনইনস্টল বা নিষ্ক্রিয় করে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা চালাতে পারেন।

সেফ মোডে কি করা যায় — পরীক্ষা ও সমস্যা নির্ণয়

সেফ মোডে আপনি নিম্নোক্ত কাজগুলো করে সমস্যার উৎস নির্ণয় করতে পারবেন:

  1. নতুন ইনস্টলকৃত অ্যাপ আনইনস্টল করা — যদি কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার পর সমস্যা শুরু হয়ে থাকে, সেটি আনইনস্টল করে রিস্টার্ট করে চেক করুন।
  2. অ্যাপ পারমিশন ও ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস পরীক্ষা — কিছু অ্যাপ অতিরিক্ত পারমিশন নিয়ে সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  3. ব্যাটারি ড্রেন/CPU লোড ম্যানেজমেন্ট চেক — সেফ মোডে থাকলে ব্যাটারি খাওয়া কমলে বোঝা যায় কোনো থার্ড-পার্টি অ্যাপ ছিল কারণ।
  4. গুগল প্লে সার্ভিস/সিস্টেম আপডেট সম্পর্কিত সমস্যা টেস্ট — কিছু ক্ষেত্রে সিস্টেম সার্ভিসের আপডেট ইস্যু থাকলে সেটাও সেফ মোডে চিহ্নিত হয়।

প্রক্রিয়াটি সিস্টেমেটিক হওয়া উচিত: এক এক করে অ্যাপ আনইনস্টল করে পরীক্ষা করুন — এতে করে কিসের কারণে সমস্যা হচ্ছিল তা সহজে শনাক্ত হবে।

সেফ মোডে কী করা যায় না — সীমাবদ্ধতা

সেফ মোড একটি পরীক্ষামূলক পরিবেশ; এখানে কিছু কার্যাবলি সীমাবদ্ধ থাকে:

  1. থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না — ফলে নির্দিষ্ট অ্যাপ নিয়ে টেস্ট করা অসম্ভব।
  2. কাস্টম থিম/লঞ্চার কার্যকর হবে না — আপনার কাস্টম লঞ্চারের পরিবর্তে সিস্টেম লঞ্চার চলবে।
  3. কিছু ডায়াগনস্টিক টুল কাজ নাও করতে পারে — কারণ সেগুলো থার্ড-পার্টি হওয়ায় লোড হয় না।

তাই সেফ মোডে শুধুমাত্র সমস্যার উৎস নির্ণয় করা যায় — পুরো সমস্যার সমাধান করতে প্রায়ই নর্মাল মোডে ফিরে এসে কাজ করতে হয়।

সেফ মোড থেকে বের হওয়ার উপায়

সেফ মোড থেকে ফিরে আসা সাধারণত খুব সহজ:

  1. রিস্টার্ট দিন — অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ রিস্টার্ট দিলেই ফোন নর্মাল বুট মোডে ফিরে আসে।
  2. পাওয়ার অফ করে আবার চালু করুন — কখনো কখনো রিস্টার্ট করলে Safe Mode থেকেই থাকতে পারে; তখন সম্পূর্ণ Power Off করে পুনরায় চালু করলে 됩니다।
  3. যদি না চলে — সেটিংস → সিস্টেম → রি-বুট/বুট অপশন চেক করে Normal boot নির্বাচন করুন (কিছু কাস্টম UI তে)।

যদি ইনভ্যালিড কনফিগারেশন বা কাস্টম রমের কারণে সেফ মোড আটকে থাকে, তবে আরও গভীর ট্রাবলশুটিং প্রয়োজন হতে পারে — যেমন নিরাপদ রিকভারি বা ফ্যাক্টরি রিসেট (যেটি ডেটা হারানোর কারণ হতে পারে)।

সেফ মোডে ফোন ধীর মনে হলে করণীয়

সেফ মোডে সাধারণত ফোন দ্রুত কাজ করে (কারণ কম অ্যাপ লোড হয়)। যদি সেফ মোডেও ফোন ধীর হয়, তা হলে এটি ইঙ্গিত যে সমস্যাটি সফটওয়্যার নয়, বরং হার্ডওয়্যার-সংক্রান্ত বা সিস্টেম-লেভেল ত্রুটি হতে পারে। করণীয়:

  1. স্টোরেজ অবশিষ্ট আছে কিনা চেক করুন — স্টোরেজ ফুল থাকলে সিস্টেম ধীর হয়ে পড়ে। নরমাল মোডে স্টোরেজ ক্লিন করুন এবং আবার চেক করুন।
  2. র‍্যাম ও প্রসেসর লোড চেক করুন — যদিও সেফ মোডে অ্যাপগুলো লোড হয় না, কিন্তু সিস্টেম প্রসেসে অস্বাভাবিক লোড থাকলে সমস্যা দেখা দেয়।
  3. হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করুন — ব্যাটারি দুর্বল, ওভারহিটিং বা মেমরি ইস্যু থাকলে পারফরম্যান্স কমে।
  4. সিস্টেম আপডেট/রিস্টোর করুন — যদি সম্ভব হয় অফিসিয়াল সফটওয়্যার রিইনস্টল বা আপডেট করে দেখুন।

স্টেপ-বাই-স্টেপ চেকলিস্ট: সমস্যার উৎস খোঁজার জন্য

এখানে একটি প্র্যাকটিক্যাল চেকলিস্ট দিলাম — ধাপে ধাপে অনুসরণ করলে সহজেই সমস্যার উত্স মিলিয়ে ফেলতে পারবেন:

  1. Step 1: ব্যাকআপ নিন — যে কোনো পরিবর্তন বা আনইনস্টল করার আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ নিন।
  2. Step 2: সেফ মোডে বুট করুন — উপরের যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
  3. Step 3: পারফরম্যান্স চেক করুন — সেফ মোডে ফোন স্বাভাবিক কাজ করছে কি না যাচাই করুন।
  4. Step 4: নতুন ইনস্টল করা অ্যাপগুলো এক এক করে আনইনস্টল করুন — প্রতিবার রিস্টার্ট করে চেক করুন।
  5. Step 5: কনফিগারেশন ও পারমিশন রিভিউ করুন — কিসের উপর অ্যাপ বেশি পারমিশন চাচ্ছে তা দেখুন।
  6. Step 6: নর্মাল মোডে ফিরে এসে পরীক্ষা করুন — সমস্যা মিটেছে কি না দেখুন।
  7. Step 7: প্রয়োজনে ফ্যাক্টরি রিসেট বা সার্ভিস সাপোর্ট নিন — যদি সফটওয়্যার সমস্যা না হয়, হার্ডওয়্যার চেক করান।

সতর্কতা ও ব্যাকআপ টিপস

সেফ মোড ব্যবহার নিরাপদ, কিন্তু কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ভালো হয়:

  1. কোনো অ্যাপ আনইনস্টল করার আগে ব্যাকআপ নিন — সেটিংস/ডাটা ব্যাকআপ রাখুন যাতে প্রয়োজন হলে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
  2. ফ্যাক্টরি রিসেট করা হলে ডেটা হারাবে — তাই শেষ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন।
  3. অফিশিয়াল রিসোর্স অনুসরণ করুন — ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল সহায়তা ডকুমেন্টেশন পড়ুন, বুট/রেকভারি পদ্ধতি আলাদা হতে পারে।
  4. রুট বা কাস্টম রম থাকলে সাবধান — রুট করা ডিভাইসে Safe Mode আচরণ ভিন্ন হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে রিকভারি প্রয়োজন হতে পারে।

উপসংহার

সেফ মোড হলো একটি দ্রুত, সহজ এবং কার্যকর টুল যা আপনাকে মোবাইলের সফটওয়্যার-ভিত্তিক সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। পাওয়ার মেনু, হার্ডওয়্যার বাটন কম্বিনেশন বা সিস্টেম সেটিংস—যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন—লক্ষ্যই হল সমস্যার উৎস চিন্হিত করা এবং ডেটা সংরক্ষণ করে সম্ভাব্য নিরাপদ সমাধান খুঁজে পাওয়া। যদি সেফ মোডে ফোন স্বাভাবিক চলে, তবে সন্দেহ হওয়া উচিত যে কোনো ইনস্টল করা অ্যাপ, সেটিংস বা অডিটেড পারমিশন সমস্যার উৎপত্তি। আর যদি সেফ মোডেও সমস্যা থেকে যায়, তাহলে হার্ডওয়্যার বা সিস্টেম লেভেল ত্রুটি বিবেচনা করে সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন।

FAQs — প্রায়শই জিজ্ঞাস্য

১. সেফ মোড চালু করলে কি আমার ডেটা মুছে যাবে?

না। সেফ মোড কেবল ডিভাইসকে সীমিত সফটওয়্যার পরিবেশে চালায়; এটি আপনার ব্যক্তিগত ডেটা (ফটো, কন্টাক্ট, মেসেজ ইত্যাদি) মুছবে না। কেবল থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলো সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকবে। তবে অনিরাপদভাবে অ্যাপ আনইনস্টল করলে অ্যাপ-সংক্রান্ত ডেটা হারাতে পারেন — তাই বড় ধরনের পরিবর্তনের আগে ব্যাকআপ নিন।

২. সেফ মোডে থাকলে কোন অ্যাপগুলো কাজ করবে?

কেবলমাত্র সিস্টেম বা ডিফল্ট অ্যাপগুলোই কাজ করবে — যেমন ফোন, মেসেজ, সিস্টেম সেটিংস। যে কোনো থার্ড-পার্টি অ্যাপ (যাকে আপনি প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করেছেন) সাধারণত লোড হবে না।

৩. সেফ মোডে আটকে গেলে কি করব?

সাধারণত রিস্টার্ট দিলে সেফ মোড থেকে বের হওয়া যায়। যদি না হয়, ফোন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে আবার চালু করুন। এরপরও সমস্যা থাকলে — কাস্টম রম বা রুট করা থাকলে অতিরিক্ত স্টেপ নিতে হতে পারে; আনবুট বা রিকভারি থেকে সিস্টেম রিস্টোর সহায়ক হতে পারে। সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন।

৪. iPhone-এ কি সেফ মোড আছে?

iPhone-এ "সেফ মোড" ঠিক অ্যান্ড্রয়েডের মতো নেই। তবে iOS-এ DFU বা Recovery Mode আছে যেগুলো ডিভাইস রিকভারি/রিস্টোর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। iPhone-এ তৃতীয়-পক্ষের অ্যাপগুলো আলাদাভাবে কাজ করে; সাধারণ ব্যবহারকারীর দিক থেকে iOS-এ তেমন ডায়াগনস্টিক Safe Mode নেই।

৫. সেফ মোড নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত?

না — সেফ মোড কেবল সমস্যা নির্ণয়ের জন্য। যদি ফোন নিয়মিতভাবে সেফ মোডে ভালো চলে কিন্তু নর্মাল মোডে খারাপ হয়, তবে কোনো অ্যাপ বা সেটিংস ঠিক করতে হবে। সেফ মোড নিয়মিত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়।

আপনি যদি চান, আমি এই নির্দেশনা অনুবাদ করে বা আপনার নির্দিষ্ট ডিভাইস (মডেল নাম/ব্র্যান্ড) অনুযায়ী কাস্টম স্টেপ–বাই–স্টেপ নির্দেশনা দিতে পারি।

About the author

Leo
Hey! I'm Leo. I'm always eager to learn new things and enjoy sharing my knowledge with others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.