শিশুর দাঁত উঠছে না, দাঁত উঠতে দেরি, শিশুদের দাঁতের সমস্যা, ১৪ মাসে দাঁত ওঠেনি, দাঁত না ওঠার কারণ, শিশুর পুষ্টি, baby teeth delay, baby tooth eruption late
১৪ মাস বয়সেও দাঁত না ওঠার কারণ
ভূমিকা
শিশুর জীবনের প্রথম বছর দাঁতের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বেশিরভাগ শিশুর দাঁত ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে উঠলেও, কিছু শিশুর ক্ষেত্রে দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে, যা অনেক সময় স্বাভাবিক হলেও, কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন হয়।
সম্ভাব্য কারণসমূহ:
- বংশগত কারণ: পরিবারের কারো দাঁত উঠতে দেরি হয়ে থাকলে শিশুর ক্ষেত্রেও দেরি হতে পারে।
- পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন D, ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের ঘাটতি দাঁত গঠনে প্রভাব ফেলে।
- হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েডজনিত সমস্যা দাঁত গঠনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
- জন্মগত অসুবিধা: যেমন Down syndrome, ectodermal dysplasia ইত্যাদি।
Related Posts
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
- যদি শিশুর বয়স ১৮ মাস ছাড়িয়ে যায় এবং দাঁতের কোনো লক্ষণ না থাকে।
- যদি শিশুর ওজন বা উচ্চতা স্বাভাবিক না হয়।
- মুখগঠন বা চোয়ালে অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায়।
আপনি কী করতে পারেন:
শিশুকে সুষম খাবার দিন এবং দিনে কিছুক্ষণ রোদে খেলতে দিন যেন সে ভিটামিন D পায়। নিয়মিত শিশু বিশেষজ্ঞ বা ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।
ঔষধ এবং চিকিৎসা:
সাধারণত দাঁত উঠাতে আলাদা করে ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে, চিকিৎসক শিশুকে নিচের মত কিছু সাপ্লিমেন্ট দিতে পারেন:
- ভিটামিন D ড্রপস – দাঁতের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট – হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সহায়ক।
- মাল্টিভিটামিন সিরাপ – সামগ্রিক বিকাশে সহায়ক।
মনে রাখবেন: ওষুধ প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উপসংহার:
প্রথম দাঁত উঠতে দেরি হওয়া সব সময় বিপদজনক নয়। তবে যদি শিশুর বয়স ১৮ মাস পার হয়ে যায় এবং দাঁতের কোনো লক্ষণ না দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শিশুর সঠিক পুষ্টি, সুর্যরশ্মির সংস্পর্শ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণই দাঁতের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করে।