বাঘ ও সারসের গল্প: সততা ও বুদ্ধিমত্তার পাঠ
একটি ক্লাসিক বাংলা নৈতিক কাহিনী যা শিশু এবং বড় উভয়ের জন্য শিক্ষামূলক। এই গল্পটি সততা, বুদ্ধি, এবং ধৈর্যের মূল্য শেখায়।
 
গল্পের সূত্রপাত
এক বনে এক বাঘ বাস করত। একদিন সে একটি শিকার করল এবং মনের আনন্দে খেতে শুরু করল। হাড় চিবোতে গিয়ে হঠাৎ তার গলায় একটি হাড় আটকে গেল।
বাঘটি প্রচণ্ড যন্ত্রণায় পড়ল এবং হাড় বের করার কোনো উপায় খুঁজতে পারছিল না। সে শুধু বন কাঁপিয়ে গর্জন করছিল।
সারসের আগমন
ওই সময়ে একটি লম্বা গলার সারস পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সারসের লম্বা গলা দেখে বাঘ মনে করল, এই পাখির সাহায্যে হয়তো গলার হাড় বের করা সম্ভব। বাঘ সারসকে ডাকল এবং অনুরোধ করল:
"তোমার লম্বা গলাটি ব্যবহার করে আমার গলার কাঁটা বের করে দাও। আমি তোমাকে পুরস্কার দেব।"
Related Posts
সারসের বুদ্ধি
প্রথমে সারস কিছুটা ভয় পেলেও বাঘের কষ্ট দেখে এবং পুরস্কারের লোভে সে রাজি হলো। সারস তার লম্বা ঘাড় এবং মাথা বাঘের মুখে ঢুকিয়ে সহজেই কাঁটা বের করে আনল।
বাঘের কৃতজ্ঞতা ও সারসের শিক্ষা
বাঘ দীর্ঘদিনের যন্ত্রণার পর মুক্তি পেল। তখন সারস বলল:
"এবার দাও আমার পুরস্কার।"
বাঘ কিছুক্ষণ সারসের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল:
"তোমার মাথা এতক্ষণ আমার মুখের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও আমি খাইনি—এটাই কি তোমার জন্য বড় পুরস্কার নয়?"
বাঘের এই কথায় সারস অবাক হয়ে গেল। এই গল্পটি আমাদের শেখায় সততা এবং বুদ্ধিমত্তার সত্য মূল্য।
গল্পের নৈতিক শিক্ষা
- সাহস এবং ধৈর্য কখনও কখনও বিপদের সময়ও সাহায্য করে।
- সততা ও নিষ্ঠা সর্বদা পুরস্কার পায়, হয়তো প্রত্যাশিত না হলেও।
- বুদ্ধি এবং ধৈর্য একত্রে বিপদকে সহজ করে।
#বাংলা_গল্প #বাঘওসারস #শিশুগল্প #নৈতিকশিক্ষা
 
